ব্রেক্সিটের পক্ষে দৃঢ় প্রত্যয় তেরেসা মে’র
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃবিরোধীদের সমালোচনাকে উড়িয়ে দিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। তার জবাব দিলেন তেরেসা মে। তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে পরিষ্কার করে এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে প্রস্তুত তার সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঘটবে। আগামী বছর মার্চের শেষ নাগাদ এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে বার্লিনে অ্যাঙ্গেলা মারকেলের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই তিনি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলরকে বললেন, ব্রেুক্সিট বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। ২০১৭ সালের মার্চের আগে বা মার্চ মাসের শেষ নাগাড় আমরা লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করার জন্য প্রস্তুত। উল্লেখ্য, অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও বৃটেনে কিন্তু ব্রেক্সিট আটকে দেয়ার জন্য তৎপরতা চলছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলায় হেরে গেছে তেরেসা মে নেতৃত্বাধীন সরকার। হাই কোর্ট রায় দিয়েছে যে, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। ফলে আগামী ৫ই ডিসেম্বর থেকে এ নিয়ে শুনানি শুরু হচ্ছে। মিডিয়ায় বলাবলি হচ্ছে, হাই কোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া অচল হয়ে গেছে। অন্যদিকে পার্লামেন্টে যদি অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা না করা নিয়ে ভোট চাওয়া হয় তাতে এ অনুচ্ছেদ সক্রিয় না করার পক্ষে ভোট দিতে রাজনীতিকরা ভিতরে ভিতরে কাজ করছেন। ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক এমপিও এ দলে যোগ দিয়েছেন। বিরোধীরা সমালোচনা করছেন, তেরেসা মে সরকারের ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে কোনো সুনির্দিস্ট পরিকল্পনা নেই। কিন্তু অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে এসব সমালোচনার জবাবে তেরেসা মে বলেছেন, আমি মসৃণভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই। যাতে তাতে বৃটেন ও ইউরোপীয় অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষা হয়। এসব নিয়ে শুক্রবার তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এর আগে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান অ্যাঙ্গেলা মারকেল।