ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক হচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলে, এই প্রথম ব্রিটেনে একজন ব্রিটিশ এশিয়ান রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনকারী এমপি কমিটির প্রধান স্যার গ্রেম ব্রেডি নিশ্চিত করেছেন যে ঋষি সুনাকই হবেন দলের পরবর্তী নেতা এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এ বছরের মাঝামাঝি মিথ্যা বলার কেলেঙ্কারিতে পড়ে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর নেতৃত্বের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন ঋষি সুনাক।
কিন্তু তাকে হারিয়ে যিনি দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হন, সেই লিজ ট্রাস মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় থাকার পর গত সপ্তাহে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এর পরপরই আবারও নেতৃত্বের জন্য তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন মি. সুনাক। শেষ পর্যন্ত অন্য কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ না করায় ঋষি সুনাকই কনজারভেটিভ দলের নেতা এবং সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
গত মাসে সেপ্টেম্বরে নেতৃত্বের নির্বাচনে যিনি হেরে গিয়েছিলেন, পরের মাসেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি জিতে গেলেন।
ধারণা করা হচ্ছিল মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী এমপি পেনি মর্ডান্ট এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঋষি সুনাককে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কিন্তু বরিস জনসন রোববার রাতেই জানিয়ে দেন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। আর আজ (সোমবার) বেলা দুটোয় প্রার্থিতা ঘোষণার সর্বশেষ সময় পার হয়ে যাওয়ার ঠিক আগে মিজ মর্ডান্টও জানিয়ে দেন তিনি নেতা নির্বাচনের এই দৌড়ে যোগ দিচ্ছেন না।
বিবিসির সংবাদদাতা নিক আর্ডলি বলছেন আগামীকাল (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন মি. সুনাক।
গত মাসেই নেতৃত্বের নির্বাচনে যিনি হেরে গিয়েছিলেন পরের মাসেই দলের বিপুল সংখ্যক এমপির সমর্থন নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হলেন মাত্র ৪২ বছর বয়সী সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
নতুন নির্বাচন চায় বিরোধীরা
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিকরা একে এক দলের নতুন নেতাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করলেও দুই বিরোধী দল – লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আবারও সাধারণ নির্বাচন দাবি করেছে।
লেবার পার্টির উপনেতা অ্যাঞ্জেলো রেইনার টুইট করেছেন -“যে ব্যক্তি ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কিছু বলেননি, তাকেই কনজারভেটিভ পার্টি তাদের নেতা বানিয়েছে…ব্রিটিশ জনগণ নতুন নির্বাচন চায়।”
লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা এড ডেভি এক বিবৃতিতে বলেছেন দেশের বর্তমান বাস্তব পরিস্থিতির সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই তেমন একজনকে কনজারভেটিভ পার্টি তাদের নেতা নির্বাচিত করেছে। “তার দল অর্থনীতির যে সর্বনাশ করেছে তা তিনি কিভাবে ঘোচাবেন সে ব্যাপারে তার কোনও কথা নেই। এখন একমাত্র সমাধান নতুন নির্বাচন।”