ভিন্দালু ভিসা ঘোষণা ,কর্ম পরিকল্পনা ব্রেক্সিটের পর
কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সতর্ক প্রতিক্রিয়া!
সাজু আহমদঃ ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ব্রেক্সিট পরবর্তী নতুন পয়েন্ট বেইজড ইমিগ্রেশন নীতি ঘোষণার আগে কারিশিল্পকে বাঁচাতে দক্ষ শেফ আনার নিয়মকে সহজ করার ঘোষণা দেন। ব্রিটেনের মূলধারার পত্রিকাগুলো একে ভিন্দালু ভিসা বলে অভিহিত করছে। তবে এই ভিসার ব্যাপারে এখনো কোন কর্ম পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। ব্রেক্সিটের পর ভিন্দালু ভিসার পুরো কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে বহুল প্রত্যাশিত টেকওয়ে যুক্ত রেস্টুরেন্ট এ শেফ আনার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাগ্গা তুলে গত 9 সেপ্টেম্বর সরকারি ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে প্রগ্গাপন জারি করে.
নতুন প্রস্তাবিত ভিসাকে কেন ভিন্দালু ভিসা নামে অভিহিত করা হয়েছে এ ব্যাপারে ব্রিটিশ কারি এওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা এনাম আলি এমবিই বলেন ভিন্দালু ভিসা 2017 ব্রিটিশ কারি এওয়ার্ডে আমি নামকরণ করি কারণ যাতে এই ভিসা শুধুমাত্র ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রিকে উপস্থাপন করে. আমার এই ভিন্দালু ভিসার প্রস্তাব ব্রিটিশ কারি এওয়ার্ডে তৎকালীন লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রধান ভিন্স কেবলসহ অনেক রাজনীতিবিদ এর বাস্তবায়নে অংগীকার করেন. ভিন্দালু নামকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়বে, মূলধারার মিডিয়াতে এটা ব্যাপকভাবে আলোচিত হবে এবং এটা তাড়াতাড়ি দাবি বাস্তবায়নে সাহায্য করবে বলে এই নামকরণ করা হয় বলে তিনি জানান.
কারি ইন্ডাস্ট্রির স্টাফ সংকট সমাধানে 2015 সালে প্রস্তাবিত 75 পৃষ্টার সুপারিশমালা প্রসঙ্গে এনাম আলি বলেন আমরা তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন সেক্টর মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসারি কমিটি(মেক), প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কারি ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে 1 থেকে 3 বছরের জন্য তড়িৎ ভিসার ব্যাবস্তা করার সপক্ষে বিভিন্ন গবেষণাপত্র উপস্থাপন করি.
টেকওয়ে যুক্ত রেস্টুরেন্ট এ শেফ আনার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাগ্গা প্রত্যাহার এর জন্য আমার নেতৃত্বে 10 জনের ডেলিগেট নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সাথে দেখে করি. তিনি আমাদের দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে একটি চিঠি প্রদান করেন এবং দাবি পূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন.এর পরবর্তীতে তেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হলে তার কাছে ও এ ব্যাপারে লিখিত প্রস্তাব দেই. এর ফলে সাজিদ জাভেদ এ দাবি বাস্তবায়নে ঘোষণা দেন যা গত 9 সেপ্টেম্বর লিখিত আকারে প্রকাশ পায়.
তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্যাটারার এসোসিয়েশন (বিসিএ) এর সভাপতি এম এ মুনিম স্থানীয় টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেন নতুন ঘোষণা দেয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিসিএ এর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল.
নতুন ঘোষণা দেয়া ভিন্দালু ভিসার ব্যাপারে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ.
গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে এর চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান বলেন বর্তমানে সরকার এক সাংবিধানিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে. ব্রেক্সিট ও সাধারণ নির্বাচনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে. নতুন সরকার এলে পলিসি পরিবর্তন ও হতে পারে. ব্রেক্সিট পরবর্তী পয়েন্ট বেইজড সিস্টেমে এই ভিসা যুক্ত করা হবে বলে দেয়া ঘোষণা সুখবর. তবে প্রকৃত রেস্টুরেন্ট, প্রকৃত দক্ষ শেফ ও ইংরেজি জানা দক্ষ কর্মীরাই এই ভিসাতে আসতে পারবে. তাই এই অতি উল্লসিত না হয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন আতাউর রহমান. এদিকে বিলেতের বাংলা পোস্ট পত্রিকার সম্পাদক ও ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী জানান এই সরকার পরিবর্তনের একটি ভালো সম্ববনা রয়েছে, তাই তিনি সকলকে ধৈর্য ধরার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি জোর দেন. সকল নিয়ম কানুন প্রকাশ পেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাবে বলে তিনি জানান .