ভূমধ্যসাগরে নিহত ৩৭ বাংলাদেশির ৬ জনই সিলেটি
বাংলা সাংলাপ ডেস্কঃ লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত ৩৭ বাংলাদেশির ৬ জনই সিলেটি। এর মধ্যে শুধু সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের চার যুবক। এ দুর্ঘটনায় আহসান হাবিব শামিম ও কামরান আহমেদ মারুফ নামের আরও দুই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ ( ২৫), একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪)।
এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেকজন প্রাণ হারিয়েছেন। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহত আজিজের ভাই মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিউনিসিয়া উপকূল থেকে বেঁচে যাওয়া তার চাচা মুয়িদপুর গ্রামের দিলাল ফোনে জানিয়েছেন নৌকাডুবিতে ফেঞ্চুগঞ্জের চার জন মারা গেছেন।
তবে ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যান মারুফ আহমেদের ভাই মাছুম আহমেদ। তার বরাত দিয়ে বড় ভাই মাসুদ আহমেদ জানান, মারুফকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সমুদ্রের স্রোতে সে তলিয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারীরা মাছ ধরার একটি নৌকা দিয়ে গিয়ে ১৬ জনকে উদ্ধার করলেও মারুফের হদিস মেলেনি।
নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোটো একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিল। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।