ভূমিকম্পে নিহত ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে, এখনও জীবিত উদ্ধার হচ্ছেন বহু মানুষ
ডেস্ক রিপোর্টঃ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে এখন ধ্বংসস্তূপ তুরস্ক-সিরিয়ার কয়েকটি শহর। এখনও চলছে লাশ গোনার কাজ। ধ্বংসস্তূপ যত সরছে ততই বেরিয়ে আসছে মৃতদেহ। এখনও পর্যন্ত তুরস্কই উদ্ধার হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মরদেহ। দেশটিতে আহত ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে, সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ জন। আহত প্রায় ১০ হাজার। সব মিলিয়ে দু’দেশে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত এক লাখের কাছাকাছি।হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ও বিপুল ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী দল। যাদের এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছে প্রধান সমস্যা হল আশ্রয় ও খাবার।এর মধ্যে এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসছে জীবন্ত মানুষজন। কারামানমারস শহরে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে উদ্ধারকারী দল বের করেছেন ৭০ বছরের মেনেসকে তাবেককে। বাইরে বেরিয়ে এসেও তিনি বুঝতেই পারছিলেন না তিনি বেঁচে আছেন কিনা।
টানা ১৪০ ঘণ্টা পর তুরস্কের হাতায় শহর থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ মাসের শিশু হামজাকে। গাজিয়ানটেপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ বছরের এসমা সুলতানকে। অন্যদিকে হাতায় থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ মাসের আরেক শিশুকে। ১২৮ ঘণ্টা পর তাকে খুঁজে বের করেছেন উদ্ধারকারীরা। শিশুটিকে পেয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন উদ্ধারকারীরা। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, এখনও হাজার হাজার মানুষ হন্যে হয়ে খুঁজছেন তাদের আত্মীদের।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আছেন খাদ্যাভাবে। ভূমিকম্পে বেঁচে গেলেও অনেকেই ঠান্ডায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। সিরিয়ায় কমপক্ষে ৫০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহারা। প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতগ্রস্থ শহরগুলির অধিকাংশ হাসপাতালই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে আহতদের চিকিৎসা হচ্ছে অস্থায়ী ক্যাম্পে। তুরস্ক সরকার কাজে নামিয়েছে ৩২ হাজার উদ্ধারকারীকে।