পারসিভেয়ারেন্স রোভারটির মঙ্গল গ্রহে অবতরণের অবাক করা ছবি প্রকাশ
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ আমেরিকান স্পেস এজেন্সি তার পারসিভেয়ারেন্স রোভার মঙ্গল থেকে ফেরত পাঠানো একটি অবাক করা চিত্র প্রকাশ করেছে।
এটি রোবটটি অবতরণের সময় বৃহস্পতিবার মাটিতে নামছে দেখায়। এটি রকেট ক্র্যাডল ধরে নিয়েছিল যা গাড়িটি মাটিতে রাখে।
পারসিভেয়ারেন্সটি স্মৃতি ব্যাংকগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ডেটা থাকে যা এটি ধীরে ধীরে পৃথিবীতে লোড হচ্ছে।
অন্যান্য ছবিগুলির মধ্যে হল একটি উপগ্রহের দৃশ্য যা তার বংশদ্ভুত প্যারাশুট পর্বে রোভারটি ধারণ করে।
রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর নাসার মহাকাশযান পারসিভেয়ারেন্স-এর রোবট সফলভাবে মঙ্গল গ্রহের বুকে নামার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করেছে।
গ্রহের বিষুব অঞ্চল, যার নাম জেযেরো, তার কাছে গভীর এক গহ্বরে এই রোবটকে নামানো হয়েছে।
নভোযানটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তে উল্লাসে ফেটে পড়েন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মিশন কন্ট্রোলের প্রকৌশলীরা।
ছয় চাকার এই রোবটযান আগামী দু’বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। প্রাচীন হ্রদ এলাকার মাটিপাথরের মধ্যে খনন চালিয়ে এটি অতীত অণুজীবের অস্তিত্ব সন্ধানের কাজ করবে।
ধারণা করা হ,য় জেযেরোয় কয়েকশো’ কোটি বছর আগে বিশাল একটি হ্রদ ছিল। সেই হ্রদে ছিল প্রচুর পানি, এবং খুব সম্ভবত সেখানে প্রাণের অস্তিত্বও ছিল।
পারসিভেয়ারেন্সের রোবটযানটি প্রথম যে দুটি ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, সে দুটি তোলা হয়েছে দুর্বল শক্তির প্রকৌশলী ক্যামেরা দিয়ে। ক্যামেরার লেন্সে ধুলার আস্তরণের মধ্যে দিয়ে পারসিভেয়ারেন্সর রোভার অর্থাৎ ওই রোবটযানের সামনে ও পেছনে সমতল ক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রোবটযানটি জেযেরোর ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। এই এলাকাতেই পারসিভেয়ারেন্স তার সন্ধান কাজ চালাবে।