মন্ত্রিপরিষদ রদবদলে ব্যর্থ মে

Spread the love

h_53016922-e1473938849273বাংলা সংলাপ ডেস্কঃপ্রত্যাশা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়নি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র বহুল প্রতীক্ষিত মন্ত্রিপরিষদ রদবদল। দলের শীর্ষপর্যায়ে কিছু নতুন মুখ নিয়ে আসায় ও এক পুরনো মন্ত্রীর নতুন পদ গ্রহণের বদলে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ঘটনার পর অনেকে এই রদবদলকে অকার্যকর হিসেবে দেখছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, নভেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত চতুর্থ মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং। রদবদলে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছেড়ে কর্ম ও অবসর ভাতা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলে পদত্যাগ করেন তিনি। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে ব্যবসা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরিকল্পনাও সফল হয়নি মে’র।

অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে এসে মে’কে বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেই থেকে গেছেন তিনি। এ ছাড়া মে’র বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী রদবদলে নিজেদের পদ ধরে রেখেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ও অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড।
কয়েক মাস ধরেই বৃটিশ মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিভিন্ন কেলঙ্কারিতে বিদায় নিচ্ছিলেন মন্ত্রীরা। প্রথমে যান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেন প্রিতী পাটেল। একই ধারাবাহিকতায় তেরেসা মে গতমাসে তার ডেপুটি ড্যামিয়ান গ্রিনকে এক পর্নোগ্রাফি কেলেঙ্কারির দায়ে বরখাস্ত করেন। এরপর তার সরকারকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার ঘোষণা দিয়ে এই রদবদলের শুরু করেন। গত বছরের আগাম নির্বাচনে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর থেকেই দলের মধ্যে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে চিন্তিত আছেন মে। বেশ কয়েকবার তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এসবের মধ্যে এই বছরের আসন্ন কঠিন ব্রেক্সিট আলোচনায় নিজ দলের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে তার। তিনি আশা করেছিলেন, এই রদবদল তাকে দলের ওপর কিছুটা হলেও কর্তৃত্ব স্থাপনের সুযোগ করে দেবে। কিন্তু সবকিছু তার পরিকল্পনা মতো আগায়নি। বরং তার জন্যে অনেকটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রদবদল। সোমবার দিনের শুরুতেই তার কনজারভেটিভ দল টুইটারে নতুন চেয়ারমেনের নাম ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ওই টুইট ডিলিট করে, একই পদে ভিন্ন এক আইনপ্রণেতার নাম ঘোষণা করে। দিন শেষ হওয়ার আগেই বৃটিশ গণমাধ্যমগুলোতে তার ব্যর্থতা নিয়ে খবর প্রকাশিত হতে থাকে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম্বার রুড তার পদেই বহাল আছেন। গ্রিনের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক বিচারমন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন। তবে ডেপুটির পদবী পাননি তিনি। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড মন্ত্রী জেমস ব্রোকেনশায়ার। তার জায়গা দখল করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কারেন ব্র্যাডলি।


Spread the love

Leave a Reply