মসজিদে ছাত্র পেটানোর কথা আদালতে স্বীকার করলেন বার্মিংহ্যামের দুই শিক্ষক
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
স্কুল কিংবা মাদ্রাসায় ছাত্রদের বেত্রাঘাত করে আইনত দন্ডনীয় । এরপরও অধিকাংশ শিক্ষক ছাত্রদের বেত্রাঘাত করেন পড়ার অজুহাতে । এক্ষেত্রে মাদ্রাসা কিংবা মসজিদের ধর্মীয় শিক্ষকরা একদাফ এগিয়ে ।
মসজিদে ইসলামি শিক্ষা প্রদানের সময় ১০ বছর বয়সের এক ছাত্রের ভুলের কারণে তাকে তাপ্পড় এবং স্টীক দিয়ে পেটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন বার্মিংহ্যামের দুই ইসলামিক শিক্ষক স্বীকার করলেন তাদের অপরাধের কথা ।
বার্মিংহ্যামের স্পারব্রোকস জামেয়া মস্কের দুই ইসলামিক শিক্ষক মোহাম্মদ সিদ্দিক এবং মোহাম্মদ ওয়াকার। ৬০ বছর বয়সের সিদ্দীক এবং ২৩ বছর বয়সের ওয়াকার, দুজন বাপছেলে। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র পেটানোর অভিযোগ ছিলো। আলাদা ৪টি কারণে তারা গত বছরের মে মাস থেকে জুন মাসের ভেতরে একজন ছাত্রকে তাপ্পড় মারেন এবং স্টীক দিয়ে পেটান বলে আদালতের শুনানিতে বলা হয়। যদিও শুনানির প্রথম দিকে তাদের উপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বাপ-বেটা দুজনেই। তবে মঙ্গলবার বার্মিংহ্যাম ক্রাউন কোর্টে দুজনেই তাদের দোষ স্বীকার করেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বার্মিংহ্যাম ক্রাউন কোর্টে তাদের মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন বিচারক। একই দিন তাদের সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে। এর ভেতরে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের আরো খোঁজখবর নেয়া হবে বলেও বিচারক জানিয়েছেন। আপতত জামিনে মুক্ত বাপ-বেপাটর আচরণ বৃটিশ সোসাইটির শিক্ষকতা জগতে অপ্রত্যাশিত অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।