মারাত্মক ঝড়ের কারণে দুবাই বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা, ২৭০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল ও ২০জনের মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্টঃ ঝড় ও ভারি বর্ষণে বিকল হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র দুবাই। মরুর এই দেশে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। ফলে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বিলম্বিত করা হয়েছে অথবা বাতিল করা হয়েছে।
ভারি বৃষ্টি উপসাগরীয় রাজ্যগুলিকে বিপর্যস্ত করছে, যার ফলে আকস্মিক বন্যার ফলে ২০জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয়-ব্যস্ততম বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলি ব্যাহত হয়েছে৷
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বলেছে যে তারা “খুবই চ্যালেঞ্জিং অবস্থার” সম্মুখীন। রানওয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের উপরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও উত্তরে, এক ব্যক্তি মারা যান যখন তার গাড়ি আকস্মিক বন্যায় পড়ে যায়। ওমানে, উদ্ধারকারীরা সাহামে একটি মেয়ের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন।
ফ্লাইট অ্যাওয়ার ডেটা অনুসারে, বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৭০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আরও ৩৭০টি বিলম্বিত ফ্লাইট হয়েছে, ডেটা দেখায়।
দুবাইয়ের বিভিন্ন রোডে দেখা গেছে পানিতে তলিয়ে আছে গাড়ি। ফলে অচেনা শহরের রূপ ধারণ করেছে এ শহর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত দুবাই বিমানবন্দরে অত্যাবশ্যক কাজ না থাকলে সেখানে না যেতে যাত্রীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ফ্লাইট বিলম্বিতই থাকবে। দুবাইগামী ফ্লাইটের গতি পরিবর্তন করে দেয়া হচ্ছে। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন পরিচালনার জন্য কঠোর কাজ করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে দুবাইগামী এবং দুবাই থেকে ছেড়ে যাওয়া কমপক্ষে ৫০০ ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন, বিলম্বিত বা বাতিল করা হয়েছে।কারণ, বুধবার অধিক পরিমাণে বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাষ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ভারত থেকে দুবাইগামী প্রায় ১৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে দুবাই থেকে ভারতে আসা ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দুবাইয়ের পতাকাবাহী এমিরেটস এয়ারলাইন বলেছে, তারা বুধবার সব রকম চেকইন স্থগিত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন শুরু করার জন্য কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সব রকম সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। দেশটির ঐতিহ্যবাহী দুবাই মল এবং মল অব দ্য এমিরেটস বন্যাকবলিত হয়েছে। মেট্রো স্টেশনে একহাঁটু পানি। কর্মকর্তারা বলেছেন, মেট্রো ট্রেনগুলো এখন নির্দিষ্ট কিছু রুটে চলছে।
দুবাইয়ের এই বন্যা পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং প্রতিবেশী বাহরাইনে। সেখানেও একই রকম বন্য ও বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল। বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ওমানের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঝড় ও বৃষ্টি আঘাত হানে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনে। ওমানে এতে মারা গেছেন ১৮ জন। তার মধ্যে আছে বেশ কয়েকটি শিশু। কর্মকর্তারা বলছেন, ১৯৪৯ সালের পর এটাই সেখানে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।