মাশরাফির হ্যাট্রিক, কুমিল্লার প্রথম
ঢাকা থেকে নাজমিন আরা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে জমজমাট ও রোমাঞ্চকর এক ফাইনালে বরিশাল বুলসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। আর তৃতীয় আসরে এসে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল বিপিএল। অবশ্য পুরোপুরি নতুন বললে ভুল হবে। কারন দলের জন্য প্রথম হলেও দলনেতার এটি তৃতীয় শিরোপা। আগের দুই আসরেও ঢাকার হয়ে শিরোপা জিতেছেন অধিনায়ক মাশরাফি।
মঙ্গলবারের ফাইনালে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে বরিশাল বুলস। ১৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা কুমিল্লা।
কুমিল্লার ইনিংসের শুরুতে একপেশে মনে হচ্ছিল ম্যাচটি। তবে কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করা ইমরুল কায়েস ও আহমেদ শেহজাদকে (৩০) আউট করে লড়াইয়ে ফেরে বরিশাল। আঠারো ও উনিশতম ওভারে মোহাম্মদ সামি ও কুপারের অসাধারন বোলিংয়ে জয়ের পাল্লাটা বরিশালের দিকেই ঝুকে ছিল বেশী। উনিশতম ওভারে পরপর দুই বলে স্টিভেন্স ও মাশরাফিকে ফিরিয়ে দিয়ে আসরের সর্বোচ্চ (২২) উইকেটের মালিক হন বরিশালের হয়ে খেলা কেভিন কুপার। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল রুপ বদলায় ক্ষনে ক্ষনে। ১৯.২ ওভার শেষে ৪ বলে ১১ রানের লক্ষ্যটাকেও যখন আকাশ ছোয়া মনে হচ্ছিল, তখনই পরপর দুই বলে দুটি চার মেরে বরিশালের হাত থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নেন টুর্নামেন্টের শূরুতে দল না পাওয়া অবহেলিত অলক কাপালি। ম্যাচসেরা অলক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে প্রসন্নের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস এবং শেষে মাহমুদুল্লাহ ও শাহরিয়ার নাফিসের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে দেড়শ পার করে বরিশাল। শাহরিয়ার ৩১ বল খেলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন, মাহমুদুল্লার সংগ্রহ ৩৬ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান।
পরে বল হাতেও মূল্যবান দুটি উইকেট নেন বরিশালের অধিনায়ক। কিন্তু এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় আলোচনার নাম “অধিনায়ক মাশরাফি”। তাই বুলস কিংবা সুপারস্টার যে যাই হোক না কেন, জয়টা যে ভিক্টোরিয়ানসের কাজ- তা করে দেখালেন হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক মাশরাফিই।