মায়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প : কাপলো বাংলাদেশ
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
মায়ানমারে আঘাত হানা এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। তবে ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠের ‘বেশ গভীরে’ হওয়ায় তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ৭টা ৫৫ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের ফলশ্রুতিতে কয়েকদফা থেকে থেকে কেঁপে ওঠে এশিয়ার পাঁচটি দেশ।
ঢাকায় বড় বড় ভবনগুলো দুলতে থাকলে আতঙ্কও দেখা যায়। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না ঘটলেও আতঙ্কিত লোকজন এসময় ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তা ও খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ঢাকার মগবাজারে একটি মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সিলেটে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এছাড়াও আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ চারজন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই সময় চট্টগ্রামসহ অন্য জেলাগুলো থেকেও ভূকম্পনের খবর পাওয়া যায়। চট্টগ্রামে কয়েকটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আর কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পর পর মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দেয়। দূর্বল হয়ে পড়ে ইন্টারনেট সেবাও।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ৪২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে মিয়ানমারে এর উৎপত্তিস্থল। উৎপত্তিস্থলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিলো ৬ দশমিক ৯ মাত্রার। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে।
মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন, রাজধানী শহর নেইপিদোতে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কিত লোকজন ফাঁকা স্থানে ও রাস্তায় চলে আসে। তবে এ দুই শহরে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের এই ভূমিকম্প বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল ও ভূটানে অনুভূত হয়েছে। পুরো বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাসহ আশপাশের কয়েকটি রাজ্য এবং দিল্লি ও ওডিশায় ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের আতঙ্ক বিরাজ করছে এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে।