মিয়ানমারে বন্দি রয়টার্সের দুই সাংবাদিক পেলেন ব্রিটিশ সাংবাদিকতা পুরস্কার

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃরোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার খবর সংগ্রহ করে মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ২০১৮ সালের ব্রিটিশ সাংবাদিকতা পুরস্কার পেয়েছেন।

ওয়া লোন ও কিয়াউ সোয়ে ঊ যৌথভাবে ফরেইন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিজম বিভাগ এবং ম্যাসাকার ইন মিয়ানমার শিরোনামের প্রতিবেদনটি বছরের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নির্বাচিত হয়েছে। লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

এবছর আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন মিয়ানমারে বন্দি এই দুই রয়টার্স সাংবাদিক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফরেইন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, পেন/বারবেই ফ্রিডম টু রাইট অ্যাওয়ার্ড, ওসবর্ন এলিয়ট প্রাইজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, জেমস ফলে মেডিল মেডাল ফর করেজ ইন জার্নালিজম, আইআরই’র ডন বোলস মেডাল এবং ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের আবুশন প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড।

উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য সংগ্রহের সময় আটক রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে মিয়ানমার। তাদের সাত বছর কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শক ও সংস্থা এই সাংবাদিকদের বেকসুর খালাস দাবি করে আসছিল।

আটক হওয়ার সময়ে ওই দুই সাংবাদিক রাখাইনের ইন দীন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা হত্যার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। সেনা অভিযানের মধ্যে এই রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্থানীয় অধিবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মিলে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। রয়টার্স ওই ঘটনার খবর প্রকাশের পর মিয়ানমার প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা হত্যার দায়ে কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীকে কারাদণ্ড দেয়।

আট মাস ধরে চলা শুনানিতে ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে ও বলে আসছেন, যে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তারা সেদিন দেখা করতে গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে আগে কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। ইয়াঙ্গুনের একটি রেস্টুরেন্টে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রথমবার দেখা করতে গেলে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের হাতে রোল করা কিছু কাগজ ধরিয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে সাদা পোশাকের পুলিশের একটি গাড়িতে তুলে নেয়।

এই বছরের এপ্রিলে পুলিশ কর্মকর্তা মোয়ে ইয়ান নাইন আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বলেন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অধীনস্তদের ওই দুই সাংবাদিককে ফাঁদে ফেলতে গোপন নথি দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে অন্য পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের সাক্ষ্যে বলেছেন, নিয়মিত একটি ট্রাফিক পুলিশ চেকপোস্টে ওই দুই সাংবাদিককে তল্লাশি করা হয়। যে কর্মকর্তারা তাদের তল্লাশি করেছেন তারা জানতেন না যে তারা সাংবাদিক। ওই তল্লাশির সময়ে তাদের কাছে অজ্ঞাত উৎস থেকে পাওয়া গোপন নথি পাওয়া যায়। সূত্র: রয়টার্স।


Spread the love

Leave a Reply