মুক্তি মিলল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের
বাংলা সংলাপ ডেস্ক
একদিন বন্ধ থাকার পর মুক্ত হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপ, টুইটার ও ইমো। একই সাথে খুলে দেয়া হয়েছে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকা হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। এসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে বন্ধ থাকার সময়ে তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, স্কাইপ, টুইটার ও ইমো বন্ধে তার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এ ধরনের অনুরোধ জানিয়ে থাকতে পারে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অন্য কোনো সংস্থা হয়তো তাঁদের অনুরোধ করেছিল, সেজন্য হয়তো বন্ধ হয়েছে। সেটা আমি বলতে পারছি না। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুরোধ বা কিছু যায়নি। আমরা যা করেছিলাম তা পর্যায়ক্রমে উইথড্রো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক উইথড্রো হয়েছে। ধীরে ধীরে সবই উইথড্রো হবে।
সোমবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সরকার বন্ধ থাকা সব যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। এরপরই সন্ধ্যায় এগুলো খুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ বা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিটিআরসি।
বিটিআরসির দুটি আলাদা নির্দেশনায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুক-ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল বলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা ওই সময় জানিয়েছিলেন।এর ২২ দিন পর ১০ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয় ফেসবুক। আর আজ সন্ধায় মুক্ত হলো ভাইবার, টুইটার, স্কাইপসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।