মৌলভীবাজারে গবাধীপশুর বিচরণ ভূমিতে আবাসন প্রকল্প স্থাপনের অভিযোগ

সিলেট সংবাদদাতাঃ মৌলভীবাজারে গবাধীপশু বিচরণ ভূমিতে আবাসন প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। জেলার সদর উপজেলার আইনপুর আদর্শ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে । জেলা প্রশাসক বরারবে লিখিত আবেদনে এলাকাবাসী জানান অত্র গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি । তাদের গবাধীপশু চারণের জন্য গ্রামের সম্মুখে একটি গোচর মাঠ রয়েছে, যাহা গরু ছাগলের বিচরণ ভূমি, মাঠটি অত্র এলাকার প্রাকৃতীক ভারসাম্যের পাশাপাশি বাচ্চারা খেলাধুলা করে থাকে | এখানে গ্রামের একটি ঈদগাহ এবং কবরস্থানও রয়েছে যেখানে জানাযা নামাজ পড়ানো হয় । এছাড়া মসজিদের বার্ষিক ইসলামী ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে | ১৯৮৪ সালে কিছু সংখ্যাক ভূমিলঘু উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করলে ১২/০৭/১৯৮৪ স্মারক নং মুলে বিভাগীয় কমিশনার জনাব অলী হায়দার খান মৌলভীবাজার জেলাপ্রশাসকে উক্ত ভূমি সংরক্ষণের নির্দেশনা দেন, এবং এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভূমিটি গবাধীপশু চারণের জন্য বরাদ্ধ করা হয় , যাহা অদ্যবদি পর্যন্ত জমিটুকু
গবাধুপশুর খাবার এবং চারণ সহ জনসার্থে ব্যবহার হয়ে আসছে |
আবেদন পত্রে আরও বলা হয় যে, বর্তমান সেটেলমেন্ট অনুসারে এই ভূমি গোচর এবং খেলার মাঠ হিসাবে রেকর্ডকৃত | উক্ত ভূমিতে আবাসন প্রকল্প স্থাপন করা হলে গবাধীপশুর খাবার এবং চারণের জন্য বিকল্প কোন জায়গা থাকবে না। অত্র গ্রামবাসীর গবাধী পশু খাবার সংকটে পরবে । তাছাড়া করবস্থান, ঈদগাহ্ এবং অতি নিকটেই শেরপুর ইকোনমি জোন ক্ষতিগ্রস্ত হবে | একদিকে যেমন গ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী উপরোক্ত সুবিধা বঞ্চিত হবে অন্যদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিনষ্ট হবে | বর্তমানে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা তড়িগড়ি করে ঘর বানানোর পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী । এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ , পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছেন এলাকাবাসী , কিন্তু তারা আস্বস্থ করলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।