ম্যানচেস্টার হামলার দায় স্বীকার করলো আইএস
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃযুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে পপ কনসার্টের জোড়া বিস্ফোরণে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর দায় স্বীকারের খবর দিয়েছে জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মুনাফাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টিলিজেন্স। তারা আইএসকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আল্লাহর একজন সৈনিক তার আইন প্রতিষ্ঠার জন্য, এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদে এই হামলা চালিয়েছে। এদিকে আইএস সমর্থকরা সংঘটিত হামলার সফলতা দাবি করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বলেও দাবি করেছে সাইট ইন্টিলিজেন্স।
২১ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় মার্কিন সংগীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে এ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে দিগ্বিদিক ছুটতে গিয়ে অনেকে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সব রাজনৈতিক দল। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সারাবিশ্বে। ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় মার্কিন সংগীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে এ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে দিগ্বিদিক ছুটতে গিয়ে অনেকে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। আর তাদের ফিরে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনরা। পুলিশের দাবি অনুযায়ী আত্মঘাতী ওই হামলাকারী ছিলেন লোন উলফ।
ব্রিটেনের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি প্রচারণা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমে শুধু কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নির্বাচনি প্রচারণা স্থগিত ঘোষণা করে। পরে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। শীর্ষ নেতা জেরেমি করবিন জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে আলোচনা করেই সবগুলো দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত ৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হতাহতদের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বিশ্বনেতারা। ইতোমধ্যে এরিনা সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া ট্রেন স্টেশনসহ বড় এরিনাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার সারাদিন এগুলো বন্ধ থাকবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হতাহতদের প্রতি ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছেন বলে জানান। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ও লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা টিম ফ্যারনও তাদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন।