যারা গাফফার চৌধুরীকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় তারাই সাইদীকে রক্ষা করে
সুজাত মনসুর: সমাজে যত সব মানুষ আছে তাদের মধ্যে বিপজ্জনক শ্রেনী হচ্ছে জ্ঞানপাপী ও মুর্খ মানুষ। জ্ঞানপাপীরা নিজেদের কায়েমী স্বার্থ হাসিলের জন্য যে কোন একটি বিষয়কে জটিল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। এতে করে তারা একদিকে যেমন নিজেদের মতাদর্শগত স্বার্থ হাসিল করে, অন্যদিকে কোন কোন ক্ষেত্রে আর্থিকভাবেও লাভবান হয়। আর মুর্খরা কিছু না বুঝেই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফাতে থাকে। আর জ্ঞানপাপীরা বেছে নেয় কতিপয় মিডিয়া যাদের অধিকাংশই বর্তমানে মাফিয়াদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যাদেরকে আমি বলি মিডিয়া মাফিয়া। এরা সকল দেশে-সকল জাতিতে বিরাজমান। তার জ্বলন্ত প্রমান সম্প্রতি জেরেমি করবিন লেবার লিডার নির্বাচিত হবার পর বৃটেনের প্রধান প্রধান মিডিয়াগুলোয় বিরূপ সমালোচনা অথবা সিরিয়া যুদ্ধ বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর ক্রমাগত অপপ্রচার। অন্যদিকে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, মুর্খ লোকের সংখ্যাও সকল দেশে-সকল সমাজে বিরাজমান। আমাদের বিলেতের বাঙালি কমিউনিটিতেও যে জ্ঞানপাপীর সংখ্যা কম নয় তা আগে থেকে জানা। তবে আমাদের কমিউনিটিতে মুর্খ লোক আছেন সেটা বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু গত কয়েকদিনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কলম সৈনিকদের প্রধান সেনাপতি আবদুল গাফফার চৌধুরীর একটি ইতিবাচক বক্তব্যকে, কতিপয় জ্ঞানপাপী ও মিডিয়া নেতিবাচক করে উপস্থাপন করার সাথে যে কিছু লোকজন অজ্ঞতাবসে তা লুফে নিয়ে লাফালাফি শুরু করে দিবে তা হজম করতে কষ্ট হয়। এদের মধ্যে বিএনপি-জামাতের মতাদর্শের লোকজন যেমন আছে তেমনি আছে আওয়ামী ঘরানার লোকজন। যারা গাফফার চৌধুরী ইস্টলন্ডনে আসলে তাঁর সাথে আঁটার মতো লেগে থাকে। এরা হচ্ছে বর্ণচোরা যখন যেমন তখন তেমন রূপ ধারণ করে। সমাজের জন্য এরা হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষতিকর। পঁচাত্তর উত্তর জিয়া-এরশাদ-খালেদা সরকার বিভিন্নভাবে দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবিদের কিনে নিতে পারলেও প্রখ্যাত কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীকে কিনে নিতে পারেনি। কেননা তিনি যেভাবে মন ও মননে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে ধারন করেছেন আর কেউ সেভাবে করতে পারেননি। যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সামনে বিপদ ঘনিভুত হয়েছে তখনই তাঁর কলম ঝলসে উঠেছে। আমরাও আবার নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। এমনকি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও তাঁর সর্বশেষ বিলেত সফরকালে লন্ডনের নাগরিক সংবর্ধনায় পরিষ্কার করে বলেছেন, গাফফার চৌধুরীর লেখা তাঁকে পথ দেখায়, অনুপ্রেরনা ও সাহস যোগায়। তিনি হচ্ছেন আমাদের চেতনার বাতিঘর। তাই দেখা যায় আবদুল গাফফার চৌধুরীকে অর্থ-সম্পদ দিয়ে অথবা পদ-পদবী দিয়ে কিনতে না পেরে যখনই কোন ফাঁক-ফোকর পায় তখনই কুচক্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে, কুৎসা রটায়। একই সুরে কোরাস গেয়ে উঠে জ্ঞানপাপী মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিগুলো। আর সে পালে বাতাস দেয় মেধাশুন্য, নষ্ট-ভ্রষ্ট আওয়ামী লীগার আর কতিপয় বিভ্রান্ত বামপন্থী। কয়েক মাস আগে আমেরিকার এক সেমিনারে অত্যন্ত যুক্তিপুর্ন ব্যাখাসহ বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির ক্রমবিবর্তনের আলোচনাক্রমে তিনি ইসলামী নামকরণ নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তাঁকে নাস্তিক-মুরতাদ আখ্যা দিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সীমিত কয়েকজন কলম সৈনিক উনার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় তারা সফল হতে পারেনি। যদি সবাই একবাক্যে উনার পক্ষে অবস্থান নিতে পারতাম, যদি সরকারীদল আওয়ামী লীগ জোরালো ভুমিকা নিতো তাহলে ঐ নরকের কীটেরা দ্বিতীয়বার ষড়যন্ত্র বা কুৎসা রটাতে পারতো না। আমাদের অনৈক্যের কারনেই তা সম্ভব হয়েছে। আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি অথচ সংকীর্ণ আঞ্চলিকতা বা ধর্ম ব্যবসায়ীদের তালে তাল মেলাতে দ্বিধা করি না। এই যে বললাম সংকীর্ণ আঞ্চলিকতা সেটাই নিয়ে এসেছে জ্ঞানপাপী আর কতিপয় হলুদ সাংবাদিক ও সংবাদপত্র। বিষয়টি কিছুই নয়। গাফফার চৌধুরী নাকি সিলেটিদের অপমান করেছেন। তিনি সিলেটিদেরকে লাঙ্গল টু লন্ডন বলে কটাক্ষ করেছেন। সিলেটিদের ভাষা নিয়ে কথা বলেছেন, পেশা নিয়ে কথা বলেছেন। বিলেতের বাঙালি কমিউনিটির তিন মহামতিকে(!) নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করেছেন। আর যায় কোথায়? সবাই রে রে শব্দ তুলে রণ-সাজে সাজতে শুরু করে দিয়েছে। কোন কোন সংবাদপত্র লিড নিউজ করে বিষয়টিকে জাগরুক রাখছে। আমার কাছে তেমনি একটি সংবাদপত্রের লিংক এসেছে। পত্রিকাটির নাম বাংলা সংলাপ, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ সংখ্যা। যিনি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন তিনি বুঝতে পারেননি, বিপক্ষে প্রতিবেদন করতে গিয়ে মুলতঃ প্রতিবেদনটি আবদুল গাফফার চৌধুরীর পক্ষেই গিয়েছে। যদিও শিরোনাম দেখেই বোঝা যায় এটির একটিমাত্র উদ্দেশ্য সিলেটি কমিউনিটিকে গাফফার চৌধুরীর বিপক্ষে ক্ষেপিয়ে তোলা। তার উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। নতুবা আমাদেরকে নতুন করে কলম চালাতে হতো না। আগেই উল্লেখ করেছি প্রতিবেদনটিতে তিনটি বিষয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রয়াস রয়েছে। বারো ডিসেম্বর চ্যানেল আই ইউরোপ কর্তৃক আয়োজিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্মদিনের লাইভ অনুষ্ঠানে নাকি তিনি সিলেটিদের লাঙ্গল টু লন্ডন বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু যারা অনুষ্ঠানটি দেখেছেন বা পরে ভিডিও লিংকটি শুনেছেন কিংবা বাংলা সংলাপের প্রতিবেদনটি পড়েছেন তারা যদি আক্রোশে অন্ধ না হন, তাহলেই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় বা যাবে তিনি কটাক্ষ অর্থে নয় বরং সিলেটিদের প্রতি কৃতজ্ঞতার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রশংসার্থে বলেছেনঃ {আমি যেখানে গিয়েছি আলাস্কায় গিয়ে দেখি বাংলাদেশের দোকান খুলে বসে আছে । পান বিক্রি করে খবরের কাগজ বিক্রি করে এই যে এটাতো শিক্ষিত বাংগালিরা করে নাই । এরাতো এই আপনার সিলেটের যারা বলে যে লাংগল টু লন্ডন তারাই এই সংস্কৃতির ধারক বাহক অভিবাবক।} এটা হচ্ছে বাংলা সংলাপের প্রতিবেদনের অংশ। এখানে পরিষ্কার তিনি সিলেটি শ্রমজীবি মানুষের প্রশংসা করেছেন। এটাতো বাস্তবতা আমরা রেস্টুরেন্টে কাজ করছি, রেস্টুরেন্টের টয়লট পরিষ্কার করছি। গ্রোসারী দোকানে মাছ বিক্রি করছি, কসাইর কাজ করছি, পান বিক্রি করছি, চুলের দোকান দিচ্ছি। এটা হচ্ছে আমার পেশা। আমি চুরি করছি না, বাটপারি করছি না। আমাদের নবী করিম(সঃ) তো দুম্বা চড়াতেন তাতে কি হয়েছে। এটা ছিলো উনার পেশা। উনি ভিখারিকে কুঠার কিনে দিয়ে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহের কথা বলেছেন। আর লাঙ্গল টু লন্ডনের কথা তো তিনি নিজে বলেন নাই, তিনি বলেছেন যারা বলে যে, লাঙ্গল টু লন্ডন। এখানে মুল বিষয়টিকে আড়াল করে অত্যন্ত সুক্ষভাবে গাফফার চৌধুরীর নিজের কথা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। একেই বলে হলুদ সাংবাদিকতা। আর কেউ যদি আমাকে লাঙ্গল টু লন্ডন বলে তখনতো আমার লজ্জা বা অপমানিত হবার কোন কারন দেখি না। আমি জীবনে একবারই টকশোতে গিয়েছি, ২০০৪ সালে ভেক্টন টিভিতে। তখন মাসুদা ভাট্টি টেলিভিশনটির বাংলা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন আমার কোন এক বক্তব্যে রাগান্বিত হয়ে, জনৈক সিলেটি দর্শক আমাকে লাঙ্গল টু লন্ডন বলে কটাক্ষ করেছিলেন, রাগ করিনি বা অপমানও বোধ করিনি। কেননা, লাঙ্গল হচ্ছে আমার ঐতিহ্যের প্রতিক। আমাদের সবারই পুর্ব পুরুষ, এমনকি আমাদের পরিবারের যারাই দেশে আছেন তাদের অধিকাংশই লাঙ্গল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষি হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। আর লাঙ্গল ছাড়া কি কৃষিকাজ সম্ভব? এখন কউ যদি সিলেটিদের রিক্সাওয়ালা বলে গালি দেয় তাহলে আমরা কি তাতে অপমানবোধ করবো না? আজকে যারা গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারাই কিন্তু যুদ্ধাপরাধী সাঈদী কর্তৃক সিলেটিদের রিক্সাওয়ালা বলে গালি দিলেও প্রতিবাদ না করে তাকে রক্ষা করেছেন। আরেকটি বিষয়, যারা গাফফার চৌধুরী সিলেটিদের অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করেছেন বলে প্রচারনা চালাচ্ছেন এবং যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ দয়া করে পানি ঘোলা না করে, সততা যদি অন্তরে থাকে তাহলে, তাঁর বক্তব্যের অন্তর্নিহিত ভাবটা ধরার চেষ্টা করুন। তিনি যেটি বলতে চেযেছেন যখন কোন তথাকথিত শিক্ষিত নন সিলেটিরা তাঁকে সাহায্য করেনি, বিলেতে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশে কোন ভুমিকা রাখেনি, তখন এই অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত সিলেটিরাই এগিয়ে এসেছেন, এরাই হলেন সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারক-বাহক। একথা কি আমরা অস্বীকার করতে পারি বা করা উচিত যে, আমাদের পুর্ব পুরুষরা যারা এদেশে এসেছিলেন তারা হয় অশিক্ষিত ছিলেন বা অর্ধ-শিক্ষিত ছিলেন। সত্য বলার মধ্যে তো কোন ধরনের গ্লানি থাকার কথা নয়। বরং সত্য গোপন করার মধ্যেই গ্লানি নিহিত আছে। দ্বিতীয় যে বিষয়টিকে নিয়ে বাজার গরম করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাহলো সিলেটি ভাষা সম্পর্কে গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য। তিনি তো সত্যি কথাই বলেছেন। আমরা বাঙালি আর আমাদের একটাই ভাষা, বাংলা। আর যত আঞ্চলিক ভাষা তাহলো উপভাষা। তিনি যেমন সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে বলেছেন তেমনি অন্যান্য অঞ্চলের ভাষা সম্পর্কেও বলেছেন। কই অন্য জেলার কেউতো এ নিয়ে উচ্চবাচ্চ করছে না। তাহলে আমরা সিলেটিরা কি স্বাতন্ত্র ভাষার কথা বলে আঞ্চলিকতা উসকে দেবার চেষ্টা করছি? যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না তাদের পক্ষে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা সম্ভব, আমাদের পক্ষে নয়। তৃতীয় বিষয়টি হলো, কমিউনিটির তিন ব্যক্তিত্ব পতিত মেয়র লুৎফুর রহমান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী মাহি জলিল ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী সম্পর্কে বক্তব্য। ঐ তিন ব্যক্তি যদি গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যে অপমানিত বোধ করে থাকেন তাহলে আদালতে যেতে পারেন। তবে ওদের সম্পর্কে আমার মতামত হলো, মাহি জলিলকে চিনি-জানি অল্প। তিনি ব্যবসা করতে করতে হঠাৎ মনে হলো মিডিয়া ব্যক্তি হবেন। যা হচ্ছে এখন সচরাচর। আগে পেশাধার সাংবাদিকরাই সংবাদপত্রের মালিক হতেন, সম্পাদক হতেন। এখন দিন বদলেছে। অনেকেই রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন তারপর সমাজে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য মিডিয়ার সাথে যুক্ত হচ্ছেন। টাকার বদৌলতে বনে যাচ্ছেন সম্পাদক বা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কিংবা চেয়ারম্যান। জলিল সাহেবকে যতুটুকু অল্প-বিস্তর দেখেছি বা আলাপ হয়েছে বা উনার একটা প্রোগ্রাম আগে বিলেতের চ্যানেল এসে প্রচারিত হতো(এখন হয় কিনা জানিনা, কেননা আমি চ্যানেল এস দেখি না, যেমন পড়ি না জনমত ছাড়া আর কোন বিলেতি সংবাদপত্র) তা দেখে আমার মনে হয়েছে তিনি নিজেকে খুব উচুস্তরের ও জ্ঞানীগুনি মনে করেন। আর অন্য মানুষদের সম্মান জানাতে কষ্ট হয়। আবু তাহের চৌধুরী একজন সজ্জন ব্যক্তি, বন্ধু বৎসল। তবে আমার কেনো জানি মনে হয় তিনি চিন্তা-চেতনায় যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাতের মতাদর্শ লালন করেন। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। আর পতিত মেয়র লুৎফুর রহমান সম্পর্কে গাফফার চৌধুরী যা বলেছেন তাতো আদালতের রায়েই উঠে এসেছে এবং সে কারনে টাওয়ার হ্যামলেটসের লোকজন তাকে এবার শুধু প্রত্যাখ্যানই করে নাই, আস্তুাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। সুতরাং যে সব জ্ঞানপাপী ও হলুদ সাংবাদিক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন, আবদুল গাফফার চৌধুরীকে কমিউনিটিতে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন তারা শুধু ভুলই করছেন না, আত্মঘাতি কাজে লিপ্ত হয়েছেন। অতীতে যেমন তাদের সকল ধরনের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে, এবারও তা হবে। কেননা সত্য চিরকালের মিথ্যা ক্ষনিকের। ষড়যন্ত্রকারীরা সব সময় ইতিহাসের আস্তাকুড়েই নিক্ষিত হয়। আবদুল গাফফার চৌধুরী হচ্ছেন ধ্রুবতারা। তিনি আপন মহিমায় জ্বলতেই থাকবেন অনন্তকাল ধরে। সুজাত মনসুরঃ সাংবাদিক ও কলাম লেখক।