যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবিত চুক্তির পক্ষে ‘সুস্পষ্ট সমর্থন’ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধান গ্রুপের নেতাদের
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:উরোপের সঙ্গে সম্পর্ক বদলের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবিত চুক্তির পক্ষে ‘সুস্পষ্ট সমর্থন’ দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) তিনটি প্রধান গ্রুপের নেতারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আগে এ কথা জানা গেল। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইপির ওই তিন গ্রুপ সোশ্যালিস্টস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান গিয়ানি পিটেলা, ইউরোপীয় পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ম্যানফ্রেড ওয়েবার ও ইউরোপীয় কনজারভেটিভস অ্যান্ড রিফর্মিস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ কামালের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বৈঠক করেন। পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ-ইয়ুঙ্কার, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজের সঙ্গেও এদিন বৈঠক করেন তিনি। গতকাল বুধবার ক্যামেরন লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিটে নিজ কার্যালয়ে থাকলেও প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত ছিলেন। ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের আজ বৃহস্পতিবারের সম্মেলন সামনে রেখেই তাঁর এত তোড়জোড়। এ সম্মেলনে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে বলেই আশা করছে যুক্তরাজ্য। ইইউতে থাকা না থাকা প্রশ্নে আগামী জুনের দিকে যুক্তরাজ্যে গণভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ক্যামেরন। অর্থনীতিসহ বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের একটি বড় অংশ ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে। তবে এ বিষয়ে জরিপে জনমত ওঠানামা করছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, ক্যামেরনের সঙ্গে ইপির তিনটি বৃহৎ গ্রুপের নেতারা যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবিত ইইউ চুক্তির বিষয়ে ‘সুস্পষ্ট সমর্থন’ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু ক্যামেরন যুক্তরাজ্যে আসা ইইউ দেশগুলোর অভিবাসীদের ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা কর্তনের যে পরিকল্পনা করছেন, তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। পূর্ব ইউরোপের চারটি দেশ এরই মধ্যে এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও চেক প্রজাতন্ত্র মঙ্গলবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। এমন প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট টাস্ক বলেছেন, চুক্তির বিষয়ে এখনো ‘বাড়তি মাইল’ হাঁটতে হবে। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, যে করেই হোক যুক্তরাজ্যকে ইইউতে রাখতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ‘দ্বিতীয় পরিকল্পনা’ নেই। সূত্রগুলো বলছে, চুক্তি হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন। কিন্তু বৈঠক করে সরকারের সুনির্দিষ্ট অবস্থান ঠিক করার আগ পর্যন্ত মন্ত্রীরা এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না। ইপির প্রেসিডেন্ট শুলজ বলেছেন, ক্যামেরনের সঙ্গে তাঁর মঙ্গলবারের বৈঠক ‘গঠনমূলক’ হয়েছে।