যুক্তরাজ্যে লকডাউন সহজ একটি ‘বিপজ্জনক মুহুর্ত’
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃইংল্যান্ডে সোমবার থেকে লকডাউন আরো শিথিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। এমন কি লন্ডন মেয়র সাদিক খানও এর বিরোধী করছেন। তারা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। তারা এটাকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে মনে করছেন।
প্রফেসর এডমন্ড বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা এখনো অনেক উচ্চ। স্যার জেরেমি ফারার বলেছেন, লকডাউন খুলে দেয়া হলে ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯ অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, সংক্রমণের মাত্রা কমাতে এনএইচএসকে টেস্টিং ও ট্রেসিং বাড়াতে হবে।
প্রফেসর পিটার হার্বি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসলে আমরা আবারো একবার নিয়ন্ত্রণ হারাবো অন্য যে কোন অবস্থার চাইতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
লকডাউন খুলে দেয়ার পরবর্তী ধাপে ইংল্যান্ডের সমুদ্র পাড়ে রোদ পোহানোর প্রত্যাশায় হাজির হয়েছেন অনেক সমুদ্রপ্রেমিরা। সোমবার থেকে ব্রিটেন সরকার জনসম্মুখে একসঙ্গে ৬ জন লোক জমায়েত হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রাইমারী স্কুলের বহু ক্লাস চালু করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশেও লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
তবে সরকার বলেছে তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতেই লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। এদিকে আজ শনিববার ব্রিটেনে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২১৫জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮,৩৭৬ জনে।
এদিকে ব্রিটেনের দ্য সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সি (সেগ) এর বিজ্ঞানী প্রফেসর পিটার হর্বি, স্যার জেরেমি ফারার, প্রফেসর জন এডমন্ড সহ অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, ব্রিটিশ সরকার খুব তাড়াতাড়িই লকডাউন খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেইলি মেইল
ব্রিটেন স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, শনিবারই ইংল্যান্ডে করোনা ভাইরাসে ১৪৬ জন মারা গিয়েছেন, স্কটল্যান্ডে ২২ জন, ওয়েলসে ১৪জন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে ১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।