যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের প্রতিবাদ সভা // শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী পোষাকে প্রবেশে বাধা গোটা জাতিকে অপমানিত করেছে

Spread the love

unnamedগত ৪ঠা নভেম্বর যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে টুপি পাঞ্জাবী পড়ে শিক্ষার্থীকে প্রবেশে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে এক সভা লন্ডনস্থ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি মাওলানা হাফিজ হাসান নূরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও যুক্তরাজ্য সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ। বক্তব্য রাখেন ইসলামিক টিচার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবদুল করীম, সাবেক ছাত্রনেতা ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা শওকত আলী, ইসলামিক ইয়ুথ মজলিসের সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য শেখ মুসতাক আহমদ, লন্ডন মহানগরী সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, সহ সভাপতি ও বায়তুর রহমান জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা এনামুল হক, সহ সভাপতি ও আলহুদা মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মুফতি আবদুর রাজ্জাক, মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল আহাদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাবের আহমদ, তারবিয়াহ সম্পাদক ও আলহুদা ইভনিং মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আনিছুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ বলেন, দেশ ও জাতিকে আত্ম পরিচয় বিহীন করে পরদেশের গোলামে পরিণত করার জন্যে এক শ্রেণীর পরজীবি আজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনে তারা আজ ক্ষমতার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকে জাতির উপর দাসত্বের শৃংখল দিতে কাজ করছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এহেন কাজকে নিন্দনীয় ও ঔদ্যত্বমূলক আখ্যায়িত করে বলেন, পৃথিবী, কোন জাতিই তার আত্ম পরিচয়ের বিরুদ্ধে এরকম যুদ্ধ ঘোষণা করে না। শিখেরা পাগড়ী দাড়ি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ সামরিক বেসামরিক সকল ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আদিবাসীরা তাদের নৃতাত্বিক পোষাক পড়ে ক্লাস করতে পারে কিন্তু টুপি পাগড়ী ও বুরকা পরা কেন এতো বাধা। এর মানে পরিস্কার, বাংলাদেশ থেকে ইসলামী তাহযিব তামাদ্দুন ও বাংলাদেশী জাতিসত্বার অস্তিত্বকে মুছে ফেলা।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কোন ড্রেস কোড না থাকা সত্বেও কেন তারা এরকম করলো। শিক্ষা মন্ত্রানালয়কে জাতির সামনে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাসান নূরী চৌধুরী বলেন, ইসলামী পোষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়া কলংকজনক অসভ্যতা। অশালীন পোশাক পরতে কোন বাধা নেই কিন্তু শালীনতাতেই তাদের যতো আপত্তি। পৃথিবীর কোন আইনই কোন শালীন পোষাকের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করাতে পারে না।
অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, সরকার একদিকে মদীনার সনদে দেশ চালানোর কথা বলছে অপরদিকে ইসলামী পোষাকের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।


Spread the love

Leave a Reply