যে দলটিকে সাথে নিয়ে কনজারভেটিব সরকার গঠন করতে যাচ্ছে সেই ডিইউপি-র পরিচয়
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ যে দলটি কে নিয়ে কনজারভেটিব কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে । ডিইউপি গঠন করা হয় ১৯৭১ সালে। সাধারণভাবে দলটি রক্ষণশীল বলে পরিচিত। ২০০৮ সালে দলের নেতা পেইসলি পদত্যাগের পর এটি একটি কার্যকর রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
ব্রেক্সিট ও আইরিশ সীমান্ত
ডিইউপি ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে দলটি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধহীন অবস্থার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে। আসন্ন ব্রেক্সিট আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আয়ারল্যাণ্ডের মধ্য দিয়ে সাধারণ ভ্রমণপথের কথা নিয়ে আলোচনা হবে।
জনকল্যাণে রাষ্ট্রীয় ব্যয়
দলটির ইশতেহারে পেনশনের ট্রিপল লক ও শীতের সময় জ্বালানিতে সার্বজনীন ভাতার কথা বলা হয়েছে। অথচ এই দুই নীতিই প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে কনজারভেটিভরা।
সমলিঙ্গের বিয়ে বিরোধী
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দলটির অনেক পরিবর্তন হলেও ডিইউপি যুক্তরাজ্যে যেসব সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই বিরোধিতা করে। যুক্তরাজ্যের মধ্যে একমাত্র নর্দান আয়ারল্যান্ডেই সমলিঙ্গের বিয় অবৈধ। সমলিঙ্গের বিয়ের অনুমোদনের প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে তা আটকে দেয় ডিইউপি।
গর্ভপাতবিরোধী
নর্দান আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ রাখতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে ডিইউপি। তাদের এ অবস্থানের ফলে কয়েক হাজার নারীকে অন্যত্র গিয়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্য হয়েছেন কিংবা অনলাইন থেকে গর্ভপাতের ট্যাবলেট কিনে সেবন করতে হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী
আনুষ্ঠানিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেনি ডিইউপি। কিন্তু নর্দান আয়ারল্যান্ডে দলটি যে পরিবেশমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিল তিনি ছিলেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরোধী।
নেতৃত্ব
যুক্তরাজ্যের সরকার গঠনে নির্ধারক ভূমিকায় আসার পর দলটির নেতৃত্ব প্রচারের আলোয় চলে এসেছে। দলটির নেতা আরলিন ফস্টারকে কঠিন চরিত্র হিসেবে মনে করা হয়। বিতর্ক তার সঙ্গী হয়ে থাকে। আট বছর বয়সে তার বাবাকে আইআরএ গুলি করেছিল। ১৯৮৮ সালে ফস্টারের স্কুলবাসের নিচে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ‘ক্যাশ ফর অ্যাশ’ স্ক্যান্ডালের কারণে আলোচনায় আসেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নবায়ণযোগ্য উষ্ণতার কর্মসূচিতে নর্দান আয়ারল্যান্ডের করের টাকা থেকে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে। তিনি অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই ফস্টার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমরা কী করতে যাচ্ছি তা বলতে পারার সময় এখনও হয়নি। আমি মনে করি পার্লামেন্ট গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা দরকার। আমি মনে করি, এ সপ্তাহের শেষ দিকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কনজারভেটিভদের সঙ্গে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে আগ্রহী ডিইউপি।