যে ১০ জায়গায় ঘুরতে পছন্দ করেন তাসনিয়া ফারিণ
বিনোদন ডেক্সঃ পাহাড়, সমুদ্র, বন, জঙ্গল কিংবা ঐতিহ্য বহন করে এমন সব জায়গায় ঘুরতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। একসময় বাবার কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছেন। সময় পেলেই পরিবারের সঙ্গে অবসর কাটিয়েছেন। অভিনয় শুরু করার পর নতুন করে আবিষ্কার করছেন পছন্দের জায়গাগুলো। বর্তমানে শুটিংয়ে থাইল্যান্ডে আছেন ফারিণ। শুটিংয়ের ফাঁকে সেখান থেকেই এই অভিনেত্রী জানান, ঘুরতে পছন্দ করেন এমন ১০টি স্থানের নাম।
বাবার কর্মসূত্রে অনেকটা সময় কেটেছে কক্সবাজারে। পড়াশোনার সময় থেকেই পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয় কক্সবাজারের সৌন্দর্য। সময় পেলেই সমুদ্রপাড়ে চলে যান ঘুরতে।
শৈশব থেকেই পাঠ্যবইয়ে মালদ্বীপ দেশটির সঙ্গে পরিচয়। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল দেশটি দেখার। সম্প্রতি সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। ভালোবেসেছেন দেশটিকে। মালদ্বীপের সমুদ্রপাড়ে সময় কাটাতেও তাঁর অনেক ভালো লাগে।
এ বছর একাধিকবার কাজে ভারত গিয়েছেন ফারিণ। কাজের ফাঁকেই ঘুরেছেন জয়পুর, রাজস্থানসহ বেশ কিছু জায়গায়। ফারিণ জানান, এখন পর্যন্ত তাঁর পছন্দের জায়গা রাজস্থান।
নিজের মতো করে সময় কাটানোর জন্য নেপালের পোখারা ফারিণের অন্যতম পছন্দের জায়গা।
বর্তমানে ফারিণ থাইল্যান্ডে শুটিং করছেন। টানা চারটি নাটকের শুটিং করবেন। এর মধ্যেই ঘুরেছেন বেশ কিছু জায়গায়। দেশটির ফুকেট ও চিয়াংমাইয়ের মনোরম সৌন্দর্য তাঁকে ভীষণ আকর্ষণ করেছে। শুটিংয়ের ফাঁকে জায়গাগুলোয় সময় কাটিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন ফারিণ।
যুক্তরাজ্য ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। গত বছর সেই সুযোগ হয়েছিল। ঘুরতে গিয়ে ওয়েস্ট লন্ডনের এলিং ফারিণের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ঐতিহ্যসমৃদ্ধ জায়গাটা তাঁর খুবই পছন্দের।
একাধিকবার সিলেটে গিয়েছেন ফারিণ। চা–বাগানসহ নানা জায়গায় ঘুরেছেন। তবে প্রতিবার এই অভিনেত্রী নতুন করে ভালোবেসেছেন রাতারগুল বনকে। সিলেটের এই জায়গা তাঁর সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
তবে পছন্দের তালিকায় রাখতে চান সিলেটের জাফলংকেও। জায়গাটির সৌন্দর্য ফারিণকে আকর্ষণ করে।
বান্দরবানে ঘুরতে যাবেন না, তা কি হয়? এমনিতেই পাহাড়ি এলাকা ফারিণের পছন্দ। বান্দরবান জেলার নীলাচল, বগা লেকসহ অনেক দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছেন তিনি। এর মধ্যে নীলগিরি তাঁর ভীষণ পছন্দের।
একসময় চট্টগ্রামেও ছিলেন। বাসার পাশেই ছিল ফয়’স লেক। জায়গাটা ভীষণ পছন্দের ফারিণের। চট্টগ্রামে গেলে একবারের জন্য হলেও চেষ্টা করেন ফয়’স লেক ঘুরে আসতে। একসময় প্রতিদিন বাসা থেকেই ফয়’স লেক দেখতে পেতেন।