যৌন নিপীড়কদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য
অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করা যৌন নিপীড়কদের নাগরিকত্ব বাতিল এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।
শীর্ষ সংবাদ মাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়, কোনো অভিবাসীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে দেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। এর আগে দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখিও হতে হবে। সাজার মেয়াদ শেষ হলেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে নিজ দেশে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডেভিড ওয়ার্নার হক জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ আইনি ক্ষমতার পরিধি বিস্তৃতির পদক্ষেপ হিসেবে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিশেষ এই ক্ষমতা অনুযায়ী, অভিবাসী ও একাধিক নাগরিকত্বধারী যৌন নিপীড়নকারীদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে ব্রিটেন।
আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে যৌন নিপীড়নের মতো ঘৃণ্য ঘটনার সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত এশীয়রা। তাই প্রাথমিকভাবে এশীয়দের ক্ষেত্রে এই আইনের প্রয়োগ বেশি ঘটানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে গত বুধবার দক্ষিণ লন্ডনের রোথারহ্যামে শারীরিক আক্রমণ, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত একটি দল। অভিযোগ প্রমাণের পর এই দলের ৬ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি এই আইনের প্রথম পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে আরেক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট।