রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: কিয়েভের কাছে যেভাবে নিহত হলেন মার্কিন সাংবাদিক
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের শহরতলী ইরপিনে গুলিতে মারা গেছেন আমেরিকান সাংবাদিক ব্রেন্ট রেন্যঁ।
কিয়েভের পুলিশ প্রধান অ্যান্ড্রি নেবিতভ বলেছেন রুশ সৈন্যরা ঐ সাংবাদিককে টার্গেট করে। তিনি বলেন, আরো দুজন সাংবাদিক আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের খবর দিতে গিয়ে এই প্রথম কোনো সাংবাদিক মারা গেলেন।
তার যে পরিচয় পত্রটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে সেটি নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার ইস্যু করা। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক বিবৃতিতে বলেছে সাংবাদিক রেন্যঁর মৃত্যুতে তারা মর্মাহত, কিন্তু তিনি তাদের হয়ে ইউক্রেনে কাজ করছিলেন না।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে ২০১৫ সালে শেষবার মি রেন্যঁ তাদের হয়ে কাজ করেছিলেন, এবং ইউক্রেনে যে পরিচয়পত্র পরে তিনি কাজ করছিলেন তা পুরনো।
কোন মিডিয়ার হয়ে মি রেন্যঁ ইউক্রেনে কাজ করছিলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে ব্রেন্ট রেন্যঁ একজন পুরস্কার বিজয়ী প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ইরাক ও আফগান যুদ্ধের খবরও সংগ্রহ করেছেন।
নিহত সাংবাদিকের সাথে ছিলেন এবং আহত হয়েছেন আরেক মার্কিন সাংবাদিক হুয়ান আরেডোনডো।
তিনি ইটালির এক সাংবাদিককে বলেছেন তাদের ওপর যখন গুলি শুরু হয় তখন মি রেন্যঁ এবং তিনি একসাথে ছিলেন।
“আমরা ইরপিনের প্রথম সেতুটির ওপাশে গিয়েছিলাম পালানো শরণার্থীদের ছবি তুলতে। তারপর আমরা যখন গাড়িতে উঠলাম একজন এসে আমাদের অন্য আরেকটি সেতুর কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিল। আমরা একটি চেকপয়েন্ট পার হলাম, তারপর তারা আমাদের ওপর গুলি শুরু করে।”
“গাড়ির চালক দ্রুত গাড়ি ঘোরায়, কিন্তু তারা গুলি থামায়নি। আমরা দুজন ছিলাম। ব্রেন্ট রেন্যঁ আমার বন্ধু। তার গায়ে গুলি লাগে এবং সে আর আসতে পারেনি।”
ঐ সাংবাদিক বলেন তিনি জানেন না তার সতীর্থ সাংবাদিকের কপালে কী ঘটেছে। “আমি দেখেছিলাম তার গলায় গুলি লেগেছে।তারপর আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি,” বলেন হুয়ান আরেডোনডো। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন আমেরিকা সাংবাদিক রেন্যঁর মৃত্যুর জন্য রাশিয়ার জন্য “উপযুক্ত পরিণতি” নিশ্চিত করবে।