রিজার্ভ চুরিতে চার দেশ জড়িত : সিআইডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ টাকা চুরি আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ (ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম)এর সঙ্গে বাংলাদেশসহ আরও তিনটি দেশ জড়িত বলে জানিয়েছেন, সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় বাংলাদেশসহ জড়িত অপর তিনটি দেশের নাম জানা গেছে। এ দেশগুলোতেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার দেশের তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
শুক্রবার রাজধানীর নিজ কার্যালয় ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদর দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এ ঘটনায় বাংলাদেশসহ চারটি দেশের নাম জড়িত। সে কারণে চার দেশের তদন্ত শেষেই চুরির বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। তবে বাংলাদেশ থেকে আমরা যা সংগ্রহ করছি তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। বাংলাদেশে তদন্ত শেষে অন্য তিনটি দেশে তদন্ত টিম কাজ শুরু করবে বলেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সব কম্পিউটার থেকে সাধারণত তথ্য আদান-প্রদান ও এসএমএস দেওয়া হয় আমরা সে সব কম্পিউটারের ডাটা সংগ্রহ করছি। এ সব কম্পিউটার অপারেটরদের জিজ্ঞাসাবাদও করছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাদের আমরা অভিযুক্ত করছি। এর আগে, মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকীর নেতৃত্বে সিআইডির তদন্ত প্রতিনিধি দল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে পরিদর্শন করেন।
এফবিআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এফবিআই হলো আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তদন্ত সংস্থা এবং সিআইডি হলো বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা। এফবিআইয়ের সঙ্গে এখনো আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। রবিবার তাদের সঙ্গে বসা হবে। সেখানে কথা বলে চূড়ান্ত হবে তারা আমাদের কি বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।
সিআইডিয়ের বিশেষ এই পুলিশ সুপার বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, অপরাধী যে দেশেরই হোক না কেন তদন্তে অবশ্যই তা বেরিয়ে আসবে। মানি লন্ডারিং, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ও পেনাল কোডে মামলা হয়েছে।
পেনাল কোড ছাড়া বাকি দুটি আইন দেশীয় বিবেচনায় করা হলেও তা আন্তর্জাতিক আইনও। তাই অপরাধী যে দেশেরই হোক না কেন জাতিসংঘ কিংবা ইন্টারপোলের সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানান মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।