রুশ সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : মস্কোর হুমকি
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
পূর্ব ইউরোপের রুশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা সমাবেশের পরিধি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেথানে আরও সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। পেন্টাগনের এ সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব ইউরোপে একটি অতিরিক্ত সাঁজোয়া ব্রিগেড মোতায়েন করা হবে। ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ফিলিপ ব্রিডলাভ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের গোড়ার দিকে এই ব্রিগেড মোতায়েন করা হবে। এটি মোতায়েন করা হলে ইউরোপে মার্কিন সেনাবাহিনীর তিনটি পূর্ণ কমব্যাট ব্রিগেড মোতায়েন করা হবে। দৃশ্যত পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত ‘আগ্রাসী’ ভূমিকার জবাব দিতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেনারেল ব্রিডলাভ বলেছেন, পূর্ব ইউরোপসহ অন্যান্য স্থানে আগ্রাসী রাশিয়ার মোকাবিলায় ন্যাটোর মিত্র ও সহযোগী দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সেনা মোতায়েনের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মিত্রদেরকে আমরা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে চাই। আমাদের মিত্ররা তাদের দেশগুলোতে আরো অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসহ একটি সাঁজোয়া ব্রিগেডের উপস্থিতি দেখতে পাবে।
এদিকে, পূর্ব ইউরোপে নতুন সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েনের পরিকল্পনায় অকল্পনীয় জবাব দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। টিভি চ্যানেল রোশিয়া ২৪কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ন্যাটার স্থায়ী রুশ প্রতিনিধি আলেকসান্তার গ্রুশেনকো হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ন্যাটো সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নীরব দর্শক নয় রাশিয়া। প্রয়োজনীয় পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে মস্কো খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, রাশিয়া নিশ্চিত ভাবেই এর অকল্পনীয় জবাব দেবে।
এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কতোটা সামরিক হুমকি রয়েছে তা হিসাব করে জবাব দেয়া হবে। খুব ব্যয়বহুল হবে না তবে এটি খুবই কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
ইউরোপে মোতায়েন প্রতিটি ব্রিগেডে সৈন্য সংখ্যা ৪২০০। বতর্মানে ইউরোপে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জনবল প্রায় ৬২ হাজার। নিয়মিত দুটি ব্রিগেডের পাশাপাশি নতুন ইউনিট মোতায়েন হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। সঙ্গে বাড়বে সামরিক যান, সাঁজোয়া যান এবং ভারী অস্ত্রের মহড়াও।