লক্ষণ ফুটে ওঠার আগেই একদেহ থেকে অন্যদেহে ছড়ায় চীনা করোনাভাইরাস

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক: চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমিত মানুষের দেহে কোন লক্ষণ দেখা দেয়ার আগেই করোনাভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।

তারা বলছেন, করোনাভাইরাস এর আগেকার সার্স বা ইবোলা রোগের ভাইরাসের মতো নয়, এবং এটির মোকাবিলা করা কঠিন।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক বলছেন, মানুষের দেহে এটি ঢোকার পর দু’সপ্তাহ পর্যন্ত কোন লক্ষণ দেখা যায় না।

কিন্তু তখনও এটা একজন থেকে আরেকজনে ছড়াতে পারে।

করোনাভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত ২০০০র লোক সংক্রমিত হয়েছে এবং ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা শিয়াওয়েই বলছেন, তাদের মনে হচ্ছে হচ্ছে যে ভাইরাসটির ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।

কোন মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে তার দেহে লক্ষণ দেখা দিতে দু’সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

তার আগে কোন লোকই জানতে পারে না যে তার দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কিনা।

কিন্তু সেই অবস্থাতেও তার সংস্পর্শে আসা অন্য লোকরা সংক্রমিত হতে পারে।

এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ।

উহানের হাসপাতালে রোগীর ভীড়।
উহানের হাসপাতালে রোগীর ভীড়।

কারণ সার্স এবং ইবোলার মতো ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে লক্ষণ দেখা দেবার পরই কেবলমাত্র সে আরেকজনকে সংক্রমিত করতে পারতো।

কিন্তু করোনাভাইরাস এদিক থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক এবং স্পষ্টতই এ ভাইরাস মোকাবিলা করা অনেক বেশি কঠিন ।

যেখান থেকে এই ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়েছিল সেই উহান শহর এখন অবরুদ্ধ।

রাস্তায় কোন ট্যাক্সি চলতেও দেখা যাচ্ছে না।

যারা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইছেন তাদেরকে স্বেচ্ছাসেবকরা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে চীনের অনেকগুলো শহর এবং চীনের বাইরে বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত লোক চিহ্নিত হয়েছে।

উহানে স্বাস্থ্যরক্ষায় যোগ দিয়েছে চীনা সেনা সদস্যরা।
উহানে স্বাস্থ্যরক্ষায় যোগ দিয়েছে চীনা সেনা সদস্যরা।

এই দেশগুলো হচ্ছে জাপান, তাইওয়ান, নেপাল, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স।

জাপান সরকার ঘোষণা করেছে যে উহান শহরে থাকা জাপানি নাগরিকদের কেউ দেশে ফিরে যেতে চাইলে তাদেরকে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হবে।

চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান শু ওয়েনবো বলছেন, বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি চিহ্নিত করতে পেরেছেন এবং এর একটি টিকা তৈরির জন্য কাজ করছেন।


Spread the love

Leave a Reply