লন্ডনের দুটি হাসপাতালে বন্যার পানি
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ ভারী বৃষ্টিতে রাজধানী লন্ডনে দেখা দিয়েছে বন্যা। দুটি হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে না। ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সও।
গতকাল রোববার সৃষ্টি হওয়া এই বন্যায় ডুবে গেছে শহরের অনেক বাড়িঘর, সড়ক ও স্টেশন। রাস্তায় আটকা পড়েছে যানবাহন। দুর্যোগের মধ্যে বাসিন্দাদের বিনা প্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা না করতে সতর্ক করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা সহায়তার জন্য প্রায় ৩০০ ফোনকল পেয়েছে।
বন্যায় ডুবে যাওয়া হাসপাতাল দুটির মধ্যে রয়েছে ইস্ট লন্ডনস হুইপস ক্রস ও নিউহ্যাম হাসপাতাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে নিউহ্যাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আপনাদের যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা পাশে আছি। তবে আমরা যতক্ষণ পরিস্থিতি সামলাচ্ছি, সম্ভব হলে আপনারা আশপাশের হাসপাতালগুলোতে যাবেন।’ একই ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছে ইস্ট লন্ডনস হুইপস ক্রস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে লন্ডনের ব্ল্যাকওয়েল টানেল, এ ১২, নর্থ সার্কুলারের কিছু অংশসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব লন্ডনের উডফোর্ড এলাকার একটি রাস্তার বাসিন্দাদের বালতি দিয়ে বাসা থেকে পানি বের করতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির পানিতে আশপাশের লোকজনের বাড়ি ডুবে গেছে বলে জানান লন্ডনের বাসিন্দা মারিয়া পিভা নামের এক নারী। ৪৬ বছর বয়সী মারিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে এলাকার দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিল। সে ফিরে আসার আগেই পুরো রাস্তা ও ফুটপাত পানিতে ডুবে যায়। পানি আমাদের দরজার কাছেও চলে এসেছিল।’
পরিস্থিতি উল্লেখ করতে গিয়ে এডি ইলিয়ট নামের এক তরুণ জানান, ‘আমার লন্ডনে জন্ম হয়েছে এবং এখানেই বড় হয়েছি। আমি জীবনেও এমন কিছু দেখিনি।’ ইলিয়টের ভাষ্য, এটিই লন্ডন শহরে তাঁর দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।