লন্ডনের “বাংলা সংলাপ”ও আমি
ড.এস এ মুতাকাব্বির মাসুদ:
একটি পত্রিকা একটি সভ্যতার পাণ্ডুলিপি। চিরগত প্রেরণা থেকেই সৃজনশীল এমাধ্যম তুলে ধরে মানুষ,জাতি,সমাজ ,রাষ্ট্র, ভাষা-সংস্কৃতি, জাতি ও সভ্যতার ইতহাস।সে লক্ষেই সুদূর লন্ডনে ২০১০ সালের ১২ নভেম্বর ” বাংলা সংলাপ ” এর যাত্রা। আসছে ১২ নভেম্বর ২০১৫ তে কগজটির যাত্রাপথে ৫ টি বছর যোগ হবে।অর্থাৎ তার পঞ্চম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। আমি এই অনিন্দ্য-সুন্দর সংবাদ পত্রের জন্মদিনে নন্দিত শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ জন্মদিন। শুভ হোক ” বাংলা সংলাপ” এর আগামী পথচলা। — আমি এই সৃজনশীল, নতুন প্রজন্মের মুখপত্র, নান্দনিক, অভীক পত্রিকা ” বাংলা সংলাপ “এর একজন পাঠক।যা অনলাইনে পড়ার সুযোগ রয়েছে। একটি পত্রিকা প্রকাশনে কতগুলো ‘নর্মস’ মানতে হয়। আলোচ্য পত্রিকাটি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সবকিছুর প্রতি সম্মান রেখেই নিরপেক্ষ তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশনে বিশ্বস্ততার সাথে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে ক্রমাগত এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়।
আমি “বাংলা সংলাপ” পত্রিকা ও “বাংলা সংলাপ”পরিবারের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রজ্ঞা সম্পর্কে শতভাগ আস্তা রেখেই বলতে পারি; তাঁদের ত্যাগ, তাঁদের শ্রম কাগজের প্রতিটি পাতায় শিল্পিত বৈভবে উদ্ভাসিত। — পত্রিকাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ পরিবেশনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পাশাপাশি উদীয়মান মেধাবী প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় ও অনুপ্রাণনামূলক তথ্যের দীপ্তিময় সংযোজন। আরো বাড়তি কিছুর মধ্যে তাঁদের যে প্রাজ্ঞ অনুচিন্তনমূলক প্রতর্ক্য দ্যোতিত হয়ে ওঠে তা হলো পত্রিকাটির সাহিত্যের পাতা। অনবদ্য এক অঙ্গ সজ্জা নিয়ে উদ্ভাসিত হয় পাতাটি।যেখানে যেকোন পাঠকের কিংবা নবীন প্রজন্মের যেকোন লেখকের মননচর্চার সুযোগ রয়েছে।
বস্তুত “বাংলা সংলাপ ” পত্রিকার সংবাদ উপস্থাপন একটি নৈর্ব্যক্তিক চেতনার সৃজনশীল প্রজ্ঞপক। সংবাদ পরিবেশন ও সংযোজনে,নীতি-নৈতিকতার আলোকে সংস্থিত। বর্তমান জীবন বাস্তবতায় অথবা চলমান জীবনে সংঘটিত বিদ্যমান সামাজিক,রাজনৈতি অসংগতিগুলোও নিরপেক্ষতায় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিশ্লেষিত হয়ে উপস্থাপিত হয়।এক্ষেত্রে কোথাও পত্রিকাটি তার আদর্শ থেকে পরিচ্যুত হয়নি। এখানেই পত্রিকাটির নান্দনিক মৌলিকতা। এধারায় “বাংলা সংলাপ” প্রশংসার দাবি করতেই পারে।
বর্তমান বিশ্বায়নের যোগে,যেখানেই মানবতা বিপন্ন, যেখানেই অপ সংস্কৃতি, যেখানেই গণতন্ত্র বিপন্ন,যেখানেই মানুষ তার অধিকার বঞ্চিত,সেখানেই “বাংলা সংলাপ” রক্তচক্ষুর ভেতরেও নিজেকে মেলে ধরেছে বিশ্বস্ততার সাথে “ওথেনটিক” সংবাদের পরিকীর্ণতা ঘটিয়েছে নিখুঁত পরিবেশনের মাধ্যমে।
বস্তুত পত্রিকাটি একটি সময়কে,একটি জাতিকে,একটি দেশকে উপস্থাপন করেছে অসাধারণ সাংবাদিকতার অভিনিবেশের মাধ্যমে। যেখানে সংবাদ,সংবাদপত্র, ও সাংবাদিকতা একই সমান্তরালে প্রজ্ঞানের আলোকে অবস্থান নিশ্চিত করেছে। তাই দেশে-বিদেশে সর্বত্রই “বাংলা সংলাপ” একটি নিরপেক্ষ, বিশ্বস্ত, ও নন্দিত মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে।
আমি একজন পাঠক হিসেবে পত্রিকাটির বহুল প্রচার এবং প্রসার যেমোন কামনা করি, তেমনি তার দীর্ঘায়ুও কামনা করি। শুভ জন্মদিন “বাংলা সংলাপ”! শুভকামনা রইলো পত্রিকাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য।০৯-১১-২০১৫