লন্ডনের রাস্তায় বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার নির্দেশ শেখ হাসিনারঃ বিষয়টি তদন্ত করছে ব্রিটিশ পুলিশ
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে এক সভায় বলেছিলেন, বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের কি লন্ডনের রাস্তায় পাওয়া যায়না? এখানকার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা কি করছে? বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা করে বংজ্ঞবন্ধু ছবি ভাংচুর করল ,তারা এখানে কি করল? শেখ হাসিনার এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের লন্ডনের রাস্তায় বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার নির্দেষ দিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছেন ।একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ভাষা যদি হয় উস্কানীমূলক কিংবা প্রত্যক্ষ – পরোক্ষ ভাবে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের ওপর হামলার নির্দেষ সেটা নিশ্চয় সবাইকে ভাবিয়ে তুলার মতো । তাঁর (হাসিনা) এই নির্দেশের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতা কর্মীদের হুমকি এবং দেশে অবস্থানরত আত্মীয় স্বজনদের হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে।এক জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি এই অভিযোগ করে। শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য ও লন্ডনের রাস্তায় বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের উপর হামলার নির্দেশ প্রদানের বিষয়টি লন্ডন পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপি । পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানানো হয় ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের পরিচালনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তাদের বক্তব্যে জানানো হয় যে, লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যাকারী বর্তমান অবৈধ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা গত মাসে লন্ডনে এসে তার দলের নেতা কর্মীদের সন্ত্রাসবাদ তথা জঙ্গি হামলার উস্কানি ও হুকুম দিয়ে গিয়েছেন । তারা বলেন, নিজের দলীয় লোকজনকে আইন হাতে তুলে নিতে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হতে উস্কানি দিয়ে ব্রিটেনের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন শেখ হাসিনা। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয় যে, গত ২১ এপ্রিল ওয়েস্টমিনিস্টার সেন্ট্রাল হলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় শেখ হাসিনা এই হুকুম দিয়ে যান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক জানান যে, শেখ হাসিনার এই সন্ত্রাসী হামলার হুকুমের আসকারা পেয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতা কর্মী যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা কর্মীদের টেলিফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশে আত্মীয়স্বজনদের আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের আত্মীয় স্বজনরা প্রাণে বাঁচতে বাসা বাড়ি ছেড়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন এবং অনেকের দেশের বাড়িতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিদিন ভিজিট করে হুমকি প্রদান করছেনা বলেও তিনি জানান ।
যুক্তরাজ্য বিএনপি’র পক্ষ থেকে এ ধরণের হুমকি ও হয়রানির ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তা বন্দ্ব করার জোর দাবি জানানো হয় ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, শেখ হাসিনা তার বিরোধী মতকে দমন করতে এবং দেশে এক দলীয় শাসন টিকিয়ে রাখতে এ ধরণের স্বৈরতান্ত্রিক কাজে লিপ্ত হচ্ছেন । তিনি বলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর থেকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি প্রদানের বিষয়টি ব্রিটিশ পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ বিষয়টগুলো খতিয়ে দেখছে বলেও জানানো হয় ।
তিনি বলেন লন্ডনে শেখ হাসিনা তার দলের নেতা কর্মীদের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি হামলার যে উস্কানি ও হুকুম দিয়ে গিয়েছেন সেই বিষয়টি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মাধ্যমে তদন্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে, যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্যের মাধ্যমে ব্রিটেনে সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেয়া এবং বহু মত ও বহু সংস্কৃতির ব্রিটিশ কমিউনিটিতে যে হানাহানি ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে গিয়েছেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করা হয় । স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুরু হওয়া যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্দ্ব এবং দেশে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা কর্মীদের আত্মীয় স্বজনদের হয়রানি বন্দ্বেরও জোর দাবি জানানো হয়।
পরিশেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানানো হয় ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ খান, কামাল উদ্দিন, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, সাবেক সিনিয়র সদস্য মিছবাউজ্জামান সোহেল, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ নাসির আহমেদ শাহীন, জাসাসের সভাপতি এমাদুর রহমান এমাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, নিউহাম বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, বিএনপি নেতা মাওলানা শামিম আহমেদ, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হক রাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সৈয়দ আতাউর রহমান, সাংবাদিক মাফফুজুর রহমান খান, মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান মাসুদ প্রমুখ।