লন্ডনে ওয়েস্টার্ন ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসিজদে দুর্বৃত্তদের আগুন, ২ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
সাউথ লন্ডনের আহমদিয়া মসজিদে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয় । এতে মসজিদের নিচ তলার অর্ধেক এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কিছু অংশের ক্ষতি হয়েছে। অগ্নি কান্ডের সময় মসজিদে লোক সমাগম কম থাকায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাগেছে। তবে এসময় একজনকে অগ্নিকান্ডে সৃষ্টি ধোঁয়া জনিত কারনে হাসপাতালে নেয়া হয়।
দক্ষিন লন্ডনের মর্ডেন এলাকার লন্ডন রোড়ে অবস্থিত ‘বাইতুল ফুতুহু মসজিদকে’ পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হয। আহমদীয় সম্প্রদায়ের এই মসজিদটি ৫.২ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং এক সাথে সাড়ে ১০ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারে। আহমাদী মুসলিম কমিউনিটির ফরিদ আহমেদ বলেন, এটি একটি খুব কঠিন সময়। আমরা নিরাপদে প্রার্থনা করতে পারব কি না। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ দু কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে । এদের একজনের বয়স ১৪ এবং অপর জনের বয়স ১৬ ।
দুপুর ১২টায় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে লন্ডন ফায়ার সার্ভিস বলেছে, এটি একটি লিস্টেট বিল্ডিং, যাতে মসজিদ কার্যক্রম চলছিল। মসজিদের সম্পূর্ণ আগুন বিকেল সাড়ে ৫টায় নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এতে একজন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ধোঁয়া জনিত রোগের কারনে।
স্টেশন ম্যানেজার ফিলিপ মর্টন বলেন, এটি একটি বৃহৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনা, আমাদের কর্মীরা মসজিদের অন্য অংশকে আগুন থেকে রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারা কমিউনিটির মানুষকে সাথে নিয়ে মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করে অত্যন্ত ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলিয়ান রোমান বিবিসিকে বলেন, আমি আমার ঘরের জানালা দিয়ে ধোঁয়ার একটি ক্ষুদ অংশ দেখেছি, সাথে সাথে এলার্ম ও হচ্ছিল।
মার্টন কাউন্সিল লিডার স্টিফেন আলমব্রিটস বলেন, মসজিদটি একটি সুন্দর বিল্ডিং এবং এলাকার প্রধান ল্যান্ডমার্ক এর মধ্যে অবস্থিত। তিনি বলেন, মসজিদে নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সম্ভবত রান্না ঘর থেকে আগুন সূত্রপাত হতে পারে।
অগ্নিকান্ডের পর আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা লর্ড আহমদে টুইট বার্তায় বলেন, মসজিদটি একটি সুন্দর কমপ্লেস্কের মধ্যে ছিল, সেখান থেকে শান্তির বার্তা আসত, মানুষ নামাজ পড়ত।