লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে জুতা-পাথর-ডিম
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে গতকাল মঙ্গলবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশন বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু হয়। হামলায় হাইকমিশনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ নিয়ে গত ২০ দিনের ব্যবধানে কাশ্মীর ইস্যুতে লন্ডনে দুই দফা প্রতিবাদী বিক্ষোভ হলো।
আজ বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত বাসে করে আসা প্রায় ১০ হাজার ব্রিটিশ পাকিস্তানি লন্ডনের এই বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তাঁরা লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় সড়কে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের ঘোষণা দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়। জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের পর থেকে কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ‘কাশ্মীর ফ্রিডম মার্চ’ ব্যানারে গতকাল লন্ডনে বিক্ষোভটি হয়। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট স্কয়ার থেকে ভারতীয় হাইকমিশন ভবনের দিকে যান। এই বিক্ষোভে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির কয়েকজন এমপি নেতৃত্ব দেন। কাশ্মীরে গোলাগুলি বন্ধ কর’, ‘অবরোধ তুলে নাও’, ‘কাশ্মীরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের সময় এসেছে’, ‘কাশ্মীরে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ কর’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’, ‘আজাদি চাই’। বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই ছিল ব্রিটিশ পাকিস্তানি।
বিক্ষোভকারীরা জানান, কাশ্মীর অবরুদ্ধ হওয়ার ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপটে তাঁরা এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা শত শত ডিম, টমেটো, জুতা, পাথর, স্মোক বোমা ও বোতল ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন। তাঁরা হাইকমিশনের কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। ক্ষতিগ্রস্ত জানালার কয়েকটি ছবি হাইকমিশন নিজেদের টুইটার পেজে পোস্ট করেছে।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট একই ইস্যুতে একইভাবে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভ হয়। তখনো ভারতীয় হাইকমিশন বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু হয়।