লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী ৯ সদস্য জঙ্গি চক্রের দুইজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী জঙ্গি উসমান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত ৯ সদস্যের জঙ্গি চক্রের দুইজন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ নাগরিক। তবে কোনও দুজন তা জানা যায়নি। 

২৯ নভেম্বর রাতে রাতে লন্ডন ব্রিজের উত্তরের অংশে একটি হলে চলতে থাকা অনুষ্ঠানে হামলার সূত্রপাত হয়। ছুরি নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়। ছুরিকাঘাতে নিহতদের একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে।

লন্ডন পুলিশ দাবি করেছে, শনিবার (৩০ নভেম্বর) স্ট্যাফোর্ডশায়ারের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক উসমানকে লন্ডন ব্রিজের হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা উসমানের কৈশোর কেটেছে পাকিস্তানে। কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই তার। মা অসুস্থ হওয়ায় ওই সময় সে পাকিস্তানে অবস্থান করেন। পরে লন্ডনে ফিরে ইন্টারনেটে উগ্রবাদ প্রচারে নামে। পুলিশের দাবি, উসমান আফগানিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কায়েদার ভাবাদর্শে বিশ্বাসী।

এই জঙ্গি চক্রের বেশিরভাগ সদস্য  লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বোমা হামলা ও তৎকালীন লন্ডন মেয়র বরিস জনসনের মতো ভিআইপির লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে ২০১২ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এদের অধিকাংশ পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত হলেও দুজনের জন্ম বাংলাদেশে।

এই জঙ্গি চক্রকে ‘নাইন লায়ন’ হিসেবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সময় জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুপ্রেরণায় জঙ্গিবাদে জড়ালেও সংগঠনটির সদস্য ছিল না তারা।

এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময় বিচারক সবাইকে ইসলামি উগ্রবাদী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু উসমান খানকে আলাদা করে বিপজ্জনক অভিহিত করা হয় রায়ে। শুক্রবার লন্ডন ব্রিজে হামলার সময় পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়েছে।

ওই রায়ে বিচারক অ্যালান উইলকি বলেছেন, আমার বিবেচনায় দীর্ঘ কারাবাস শেষেও জনগণের জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিরাজ করবে এই আসামীরা। তারা এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে শুধু অনির্দিষ্ট সাজাই হতে পারে উপযুক্ত।

হামলার পর জানা গেছে,  অনির্দিষ্ট সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খান এবং ইলেক্ট্রনিক ট্যাগসহ আগাম মুক্তি পায়। এই ঘটনায় উসমান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নাজাম হোসাইনকে কারাগারে ডাকা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা বিপজ্জনক কয়েদিদের বিষয়ে পর্যালোচনা শুরুর পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।


Spread the love

Leave a Reply