লিওর জয়ে কেইটের চোখে পানি !
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:টাইটানিক ডুবে গিয়ে জ্যাক আর রোজকে আলাদা করে দিয়েছিল সত্যি, কিন্তু বাস্তবে এই দুই চরিত্রের রূপকার লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং কেইট উইন্সলেটের বন্ধুত্বের বাঁধন আরো জোরালো হয়েছে। অবশেষে বন্ধুর হাতে উঠেছে বহু প্রতীক্ষিত অস্কার আর লিওর এই প্রাপ্তিতে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায় কেইটকে।
ষষ্ঠবার মনোনয়ন পাওয়ার পর অবশেষে লিও সাফল্য পেলেন ‘দ্য রেভনেন্ট’ সিনেমার মাধ্যমে। কেইট নিজেও জানেন বছরের পর বছর মনোনীত হয়েও অস্কার না জিততে পারার যন্ত্রণা কি। নিজেও প্রথম অস্কারটি জিতেছিলেন ষষ্ঠবার মনোনীত হওয়ার পর, ২০০৮ সালে ‘দ্য রিডার’ সিনেমায়।
লিওর অস্কার জয়ে নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি কেইট।ত বন্ধুর ধন্যবাদসূচক বক্তব্যের সময়ে তার চোখে ছিল অশ্রু আর ঠোঁটের কোনায় হাসির রেখা।
অস্কারের লাল গালিচা থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের নানা সময় অসাধারণ কিছু মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী লিও এবং ৪০ বছর বয়সী কেইট। প্রাণোচ্ছ্বল ভঙ্গিতে কথা বলছেন, হাসছেন, একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন আর সবগুলো মুহূর্তই ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন চিত্রগ্রাহকরা।
অবশ্য রাতটা হয়তো তাদের দুজনের জন্যই লেখা হতে পারতো। কেইট উইন্সলেট নিজেও ছিলেন অস্কারের দৌঁড়ে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু শেষমশ হেরে গিয়েছেন প্রথমবারের মতো অস্কার জেতা অ্যালিসিয়া ভিকান্দারের কাছে।
‘টাইটানিক’-এর পর ২০০৮ সালে রূপালী পর্দায় পুনর্মিলন হয়েছিল লিও এবং কেইটের। সাংসারিক কোন্দলে জর্জরিত এক দম্পতির ভূমিকায় ‘রেভলুশনারি রোড’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল এই দুই তারকাকে।