লিতভিনেঙ্কোর হত্যায় ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা জড়িত বলে জানালেন নিহতের ভাই
বাংলা সংলাপ ডেস্ক : রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দা আলেকজান্দার লিতভিনেঙ্কোর হত্যাকাণ্ডে ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা জড়িতা। নিহতদের ভাই মাক্সিম লিতভিনেঙ্কো এ বক্তব্য দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জড়িত থাকতে পারে বলে ব্রিটিশ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরপরই এ বক্তব্য দেন তিনি। একই সঙ্গে ব্রিটিশ তদন্ত প্রতিবেদনকে নাকচ করে দিয়েছেন মাক্সিম লিতভিনেঙ্কো।
পুতিনের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। পেশায় পাচক বা শেফ মাক্সিম লিতভিনেঙ্কো বর্তমানে ইতালির রিমিনি’তে বসবাস করছেন।
লিভিতিনেঙ্কো হত্যায় ক্রেমলিন জড়িত বলে যে দাবি করা হয়েছে তাকে হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেন মাক্সিম লিতভিনেঙ্কো। তিনি বলেন, ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা নানা কারণে লিভিতিনেঙ্কো হত্যা করতে পারে। একই সঙ্গে রুশ গোয়েন্দা সংস্থায় লিভিতিনেঙ্কোর ভূমিকা নিয়ে নতুন তথ্য দেন তিনি।
ম্যাক্সিম বলেন, গুপ্তচর বরং অনেকটা পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছেন আলেকজান্দার। হত্যা এবং অস্ত্রপাচার রোধে আলেকজান্দার কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি।
অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি-তে কাজ করতেন লিতভিনেঙ্কো। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে কেজিবি নাম বদলে এফএসবি করা হয়। ২০০০ সালে রাশিয়া ছেড়ে সপরিবারে ব্রিটেনে পালিয়ে যান ৪৩ বছর বয়সী লিতভিনেঙ্কো।
২০০৬ সালের লিতভিনেঙ্কোর গ্রিন টি-তে তেজস্ক্রিয় ‘পোলোনিয়াম ২১০’ মিশিয়ে দেয়া হয়। এ চা খাওয়ার ২২ দিন পর মারা যান তিনি। লন্ডনের মিলেনিয়াম হোটেলের ‘পাইন বার’এ ২৩ নভেম্বরে দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যেয়ে এ চা খেয়েছিলেন লিতভিনেঙ্কো। সে দুই বন্ধুও রুশ সাবেক গুপ্তচর ছিলেন।#