শরণার্থীকে সাংবাদিকের লাথি

Spread the love

2C161DD600000578-3226888-The_woman_who_was_allegedly_working_for_N1TV_was_filming_the_cro-a-3_1441743927917বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ সার্বিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের লাথি মারার অভিযোগে অভিযুক্ত অনলাইন সাংবাদিক পেত্রা লাসজলোকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারী শরণার্থী দলটিকে ঘিরে রেখেছিল হাঙ্গেরির পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু কিছু শরণার্থী পুলিশ বেষ্টনি থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিশুসহ এক পুরুষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন পেত্রা। পরবর্তীতে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পরলে ওই সাংবাদিক শিশুটিকেও লাথি দেয়।

কিছু সময়ের মধ্যেই এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। পাশাপাশি প্রায় প্রত্যেকটি গণমাধ্যম এই ঘটনাকে শরণার্থীদের উপর ইউরোপীয় সাংবাদিকের বর্বরতা হিসেবে প্রকাশ করে। আর এতেই টনক নড়ে পেত্রার নিয়োগকারী অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেল এনওয়ানটিভি’র প্রধান সম্পাদক জাবলকস কিসবের্কের। নিজের ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘আমাদের একজন সহকর্মী রোসজকে এলাকায় ছবি তুলতে গিয়ে আজ যে আচরণ করেছেন তা মেনে নেয়া যায় না। আজ থেকে ওই নারী ফটো সাংবাদিকের নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আশা করছি বিষয়টি এখানেই থেমে যাবে।’

তদন্তে জানা যায়, সাংবাদিক পেত্রা মূলত হাঙ্গেরির আল্ট্রা ডানপন্থী রাজনৈতিক দল জোব্বিকের একজন একনিষ্ঠ সদস্য। এই রাজনৈতিক দলটি গোড়া থেকেই হাঙ্গেরিতে শরণার্থীদের প্রবেশ রুখতে সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগ করে আসছে। শুধু তাই নয়, আর অভিযোগ আছে যে, পেত্রা যে চ্যানেলটিতে কাজ করতেন সেটাও ওই ডানপন্থী দলটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

তবে শুধু চাকরি হারানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না পেত্রার শাস্তি। দেশটির বিরোধী ডেমোক্রেটিক ফোরামের এক সদস্য পেত্রার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সহিংসতার মামলা ঠুকে দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানের মতে, যদি এই সাংবাদিকের অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।


Spread the love

Leave a Reply