শরণার্থী ইস্যুতে তুরস্কের প্রশংসায় মেরকেল
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
নিজ দেশে অবস্থানরত সিরীয় শরণার্থীদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ায় তুরস্কের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তিনি আঙ্কারার এ সিদ্ধান্তকে ‘খুবই সাহসী পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। শনিবার তুরস্কের গাজিনটেপে ‘তুর্কি-ইইউ এইড প্রোগ্রাম ফর রিফুজিস’- এর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ছাড়াও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু, ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনালন্ড টাস্ক এবং ইইউ কমিশনের ১ নম্বর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিমারম্যান্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন বিষয়ক চুক্তির সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে তুরস্ক সফরে আসেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কর্মকর্তারা। শরণার্থী বিষয়ে ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই তারা এ সফর করছেন। চুক্তি অনুযায়ী যেসব শরণার্থী গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য নন, তাদের তুরস্কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মানবাধিকার গ্রুপগুলো অবশ্য বলছে, ফেরত পাঠানো শরণার্থীদের জন্য তুরস্ক নিরাপদ জায়গা নয়। অন্যদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত ইইউ’র দাবি পূরণ না হলে চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে। ইইউ-তুরস্ক চুক্তিতে বলা হয়েছে, ভিসামুক্ত ইইউ সুবিধা পেতে হলে আগামী ৪ মে’র মধ্যে তুরস্ককে ৭২টি শর্ত পূরণ করতে হবে। কিন্তু কূটনীতিকরা বলছেন, এ পর্যন্ত মাত্র অর্ধেক শর্ত পূরণ হয়েছে।
মেরকেল এমন এক সময়ে তুরস্ক সফর করছেন যখন তিনি নিজ দেশেই অভিবাসন নীতি নিয়ে বিরোধী দলের তোপের মুখে রয়েছেন। ইউরোপের কিছু দেশও এ নীতির বিরোধিতা করছে। তবে শরণার্থীদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার পক্ষপাতী জার্মান চ্যান্সেলর।