শেখ হাসিনা, রেহানা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Spread the love

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় ফলের দোকানি ফরিদ শেখকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ জনকে। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত যুবক ফরিদ শেখের বাবা সুলতান মিয়া বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদের আদালতে মামলাটি করেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ৪ জুলাই শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার সময় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজার দক্ষিণ পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাচ্ছিলেন।

শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা চালানোর সময় পুলিশের গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরিদ শেখকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। গুলি ফরিদ শেখের পাকস্থলীর ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুগদা হাসপাতালে ফরিদ শেখ গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মৃত্যুবরণ করেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন,সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. হাছান মাহমুদ, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিপ্লব কুমার, সাবেক কমিশনার ডিএমপি হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত এবং যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান।


Spread the love

Leave a Reply