সন্ত্রাসীদের ধরতে যুক্তরাজ্যে মিথ্যা শনাক্তকারী যন্ত্র
বাংলা সংলাপ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা শনাক্তকারী যন্ত্র (লাই ডিটেক্টর) ব্যবহার করবে তারা। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে সাজার মেয়াদ।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পাটেল বলেছেন, গত নভেম্বরে লন্ডন ব্রিজের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় দুইজনকে হত্যা ও বেশ কয়েকজনকে আহত করার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে সরকার। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পার্লামেন্টে সন্ত্রাসবিরোধী বিল তোলা হবে।
তিনি বলেন, নভেম্বরে ফিশমঙ্গার হলে সন্ত্রাসী হামলা আমাদের নতুন এক পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এটি সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আমাদের আরও কঠোর হতে বাধ্য করেছে। তাই আমরা নতুন এই আইন করতে যাচ্ছি। এমন হামলা প্রতিরোধে আমরা সব রকম পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
প্রীতি পাটেল বলেন, ‘আমরা আজ আমাদের কথা রাখছি। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের সাজার ব্যাপারেও পরিবর্তন আনছি। সন্ত্রাসীরা মুক্তির পর কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। হামলায় হতাহত ও তাদের পরিবার যেন সঠিক সহায়তা পায় সেটাও দেখবো আমরা।’
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের প্যারোলের ব্যপারে কঠোর হচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যেই পুনর্বাসনকালীন বিশেষজ্ঞের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের আদালতে পলিগ্রাফ বা লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার অনুমতি নেই। তবে পুনর্বাসন কেন্দ্রে সেগুলো ব্যবহার করা হয়।
কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন উসমান খান। এরপর গত বছর তিনি হামলা চালান ও পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এতে করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস দমনে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী বিপজ্জনক সন্ত্রাসীরা সাজার পুরোটা সময় কারাগারে থাকবেন। অন্তত ১৪ বছর তাদের কারাবাস করতে হবে।