সম্পাদকীয় নোট: সিলেটে পানিবন্দিদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত সেনা ও নৌবাহিনী মাঠে নামানোর দরকার
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আরও বিস্তৃতি ঘটেছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।
পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার ও আর্তনাদ চলছে। আশ্রয়ের খোঁজে পানি-স্রোত ভেঙে ছুটছে মানুষ। সবচেয়ে বিপদে আছেন শিশু ও বয়স্করা। আটকে পড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে না।
সিলেটে বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী তৎপর প্রয়োজনের তুলনায় খবই অল্প । গতকাল বিকেল থেকে সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন, ৬টি মেডিকেল টিম, আজ শনিবার সকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্য দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে। এটা পর্যাপ্ত নয় ।
সিলেট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা জানিয়েছে, ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৭ হাজার ৯০০ বস্তা শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও ৮ হাজার প্যাকেট খাবার ও ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ৪০ লাখ মানুষের জন্য এই সহযগিতা খুবই নগন্য। জরুরী ত্রাণ ততৎরতা বাড়াতে হবে।
গ্রামাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে সরকারি তৎপরতা নেই বললে চলে। সুনামগঞ্জ এবং সিলেটের গ্রামাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে। এদের খাবার সংকট। গরু ছাগল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সরকার অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনী মাঠে নামিয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ৪০ লাখ পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও খাবার পৌঁছে দিতে অন্তত কয়েক হাজার সেনা ও নৌবাহিনীর দরকার। কয়েকশ সেনা বাহিনী দিয়ে এসকল মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব না । সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে ।