সিনেটে অভিশংসিত হয়ে পদ হারালেন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট রৌসেফ
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের অভিশংসনের পক্ষেই রায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেট। এর আগে পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে অভিশংসিত হন তিনি। উচ্চ কক্ষেও তিনি অভিশংসিত হবেন কিনা, তা নিয়ে ২০ ঘণ্টার বিতর্ক হয়। বিতর্ক শেষে তিনি অভিশংসিত হন।
সিনেটের এই রায়ের কারণে আপাতত অন্তত ছয় মাসের জন্য প্রেসিডেন্টের পদ হারাচ্ছেন রৌসেফ। রৌসেফকে চূড়ান্তভাবে পদচ্যুত করার প্রশ্নে ওই ছয় মাস সিনেটে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। আর ততদিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রৌসেফকে অভিশংসিত করতে বৃহস্পতিবার সিনেটে ভোটাভুটি হয়। এর আগে রৌসেফের অভিশংসন প্রশ্নে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সিনেটে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।ভোটাভুটিতে ৫৫ সিনেটর অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ২২টি।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, সিনেটে অভিশংসন প্রক্রিয়া চলার সময় প্রেসিডেন্ট তার পদে বহাল থাকতে পারেন না। ফলে রৌসেফের অভিশংসন প্রস্তাবটি নিয়ে সিনেটে যে ১৮০ দিনের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে, সে সময় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না তিনি। সে অনুযায়ী ৫ আগস্ট থেকে রিও ডি জেনিরোতে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসের সময়ও প্রেসিডেন্ট থাকছেন না তিনি।
১৮০ দিনের বিতর্ক শেষে সিনেটে অভিশংসন প্রশ্নে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হবে। সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট যদি অভিশংসনের পক্ষে যায় তবেই কেবল প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ স্থায়ীভাবে পদচ্যুত হবেন।
প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো ২০১৪ সালে পুনঃনির্বাচনের সময় বাজেট আইন ভঙ্গ করে সরকারি হিসেবে কারসাজি করেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোবাসের কোটি টাকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যদিও রৌসেফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এরপরও তার অভিশংসনের দাবি ওঠে। আর অভিশংসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ১৭ এপ্রিল নিম্ন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে হেরে যান রৌসেফ। এরপরই উচ্চ কক্ষ সিনেটে অভিশংসন প্রস্তাবটি যায়। তবে অভিশংসন প্রক্রিয়া যেন না শুরু তার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান রৌসেফ। সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টেরও শরণাপন্ন হন তিনি। তবে তার আবেদনটি নাকচ হয়ে যায়।