সিলেটিরা “লাঙ্গল টু লন্ডন ” মন্তব্যে উত্তাল : আগাচৌর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের ঘোষণা

Spread the love

“সিলেটিরা “লাঙ্গল টু লন্ডন “আগাচৌর মন্তব্যে  উত্তাল  লন্ডন  । সেই সাথে বিভিন্ন দেশে  প্রতিবাদ ও ক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে  । দেশের বাহিরে  ইউরোপ ,আমেরিকা  ও মধ্যপাচ্য  সহ প্রতিটি দেশে  অবস্থান রত  প্রবাসি বাংলাদেশিরা  গড়ে তুলেছেন  তীব্র  প্রতিবাদ ।  জানিয়েছেন  তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা ।  বিভিন্ন দেশ থেকে  আমাদের কাছে  পাওয়া  সংবাদে বলা হয়েছে  , আগাচৌ  ফেরিওয়ালাদের  মতো একুশে কবিতা  বিক্রি  করে  চলছেন  । ভাগ্যক্রমে  তার এই কবিতাটি নির্বাচিত হয় । তবে এখন সন্দেহ হয় যে  গাফফার চৌধুরী  এই কবিতাটি আদৌ তিনি নিজে লিখেছেন কি না ? কেননা  তার শিক্ষাগত যৌগ্যতা ও ভাষা গত দক্ষতা  প্রশ্নবিদ্ধ । তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করার কথা বললেও স্নাতকোত্তর  করার  যোগ্যতা তার হয়নি । যার  নিজের ভাষার মধ্যে  সমস্যা  তিনি কিভাবে  কবিতা লিখতে পারেন  তাও প্রশ্নবিদ্ধ  বলে  মনে করেন প্রতিবাদকারিরা  ।  বলা হয়  গাফফার চৌধুরী  একটা চাপাবাজ প্রকৃতির লোক । চাপাবাজি করে  একুশে কবিতা র রচয়িতা  বলে  নিজের  রুটি রুজগার করে চলেন ।  তার জ্ঞানের  পরিধি এতটা সীমীত যে  কোন কিছু না জেনে  মন্তব্য করেন । সম্প্রতি নিউয়র্কে ( নবী সাঃ) নিয়ে  আপত্তিকর মন্তব্য  ও লন্ডনে সিলেটিদের নিয়ে   কুরুচিপূর্ন বক্তব্য  তার মুর্খতাই প্রমাণ করে । ‘আগাচৌর মন্তব্য বৃটিশ মুল্যবোধের পরিপন্থী’ মনে করেন  সিলেটবাসী । তাই তার বিরুদ্ধে লন্ডন থেকে আইনী পদক্ষেপ  নেয়া হচ্ছে বলে  জানানো হয় । “

aga-chy-520151218161824বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসে বসবাসকারী সিলেট অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা দীক্ষা ও তাদের ভাষা নিয়ে অযাচিত ও বর্ণবাদী মন্তব্য করায় বৃটেন প্রবাসী আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে দেশে বিদেশে সামাজিকভাবে বয়কটের আহবান জানিয়েছে ফেডারেশন অব কমিউনিটি অরগানাইজেশন্স, ইউকে।

সংগঠনের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য বৃটিশ মুল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তার বক্তব্য উস্কানিমুলক এবং কমিউনিটির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী। যেখানে বৃটিশ সরকার সবসময় নানা পথ ও মতের মানুষের মধ্যে, কমিউনিটি মধ্যে সোহার্দ সম্প্রীতি বাড়াতে ততপর সেখানে আব্দুল গাফফার চৌধুরী কি উদ্দেশ্যে উস্কানীমুলক বক্তব্য দিয়ে এবং বর্ণবাদী মন্তব্য করে কমিউনিটির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চান সেটি তদন্ত করার জন্য সভায় বৃটিশ সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।

সোমবার পূর্ব লন্ডনের ওয়াটার লিলি অডিটরিয়ামে আয়োজিত সভায় বক্তারা, “আব্দুল গাফফার চৌধুরী সভ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকর, তার বক্তব্য, মন্তব্য সভ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকারক এবং বৃটিশ মুল্যবোধের পরিপন্থী“ এই শিরোনামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষনা দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক এবং গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে এর চেয়ার পার্সন নুরুল ইসলাম মাহবুব।

গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে’র যুগ্ম সম্পাদক ডক্টর এম মুজিবুর রহমান ও কমিউনিটি নেতা নাজমুল হোসেন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান বাস্তবতা হলো, শতশত বৃটিশ বাংলাদেশী যখন বৃটেনের মুলধারার রাজনীতি অর্থনীতি প্রশাসন ক্রীড়াঁঙ্গন সকল ক্ষেত্রেই সাফল্য অব্যাহত রেখেছে তখন তাদের সামনে তাদের পূর্বসূরী বাংলাদেশের সিলেটের অধিবাসীদের সম্পর্কে অযাচিত মন্তব্য করে আব্দুল গাফফার চৌধুরী তার নীচু মনের পরিচয় দিয়েছেন। বক্তারা বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী সিলেটিদের ভাষা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। কারন, বিরাশি বছর বয়স হলেও এই লোকটি এখনো “চ“ আর “ছ“ এর ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারেনা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি লন্ডনে চ্যানেল আই’র এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আব্দুল গাফফার চৌধুরী প্রবাসী সিলেটিবাসী সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, তিনি আলাস্কায় গিয়ে দেখেছেন, “সিলেটিরা পান বিক্রী করছে। শিক্ষিত লোকেরা এসব কাজ করেনা“। বৃটেনের সিলেট প্রবাসীদের সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছেন “সিলেটিরা লাঙ্গল টু লন্ডন“।

সভায় এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বক্তারা বলেন, এইসব মন্তব্যেই আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নীচ ও হীন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। কারণ এই ব্যক্তি ৭৪ সালে লন্ডনে আসার পর থেকে এই পর্যন্ত বৃটিশ মুলধারার সঙ্গে মিশতে পারেননি। তার সম্পর্কে বৃটিশ বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মের ধারণা হলো, এই ব্যক্তি বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখেন। কাউকে পছন্দ না হলেই তার বিরুদ্ধে কলম ধরেন। লেখায় মৃত ব্যক্তির রেফারেন্স উদ্বৃত করেন যাতে কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। তিনযুগের বেশী সময় ধরে বৃটেনে স্থায়ী বসবাস করলেও বৃটিশ মুলধারার কোন পত্রিকায় তিনি লেখার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।

সভায় বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ার মিয়া মনিরুল আলম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে এর পেট্রন ডক্টর হাসানাত হোসেন এমবিই, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও লন্ডন বাংলা পত্রিকার সম্পাদক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, বৃটেনে, বাংলাদেশ সেন্টারের ট্রাস্টি খন্দকার ফরিদ উদ্দিন আহমদ, কাউন্সিল অব মস্ক এর চেয়ারম্যান মাওলানা সামছুল হক, সিটিজেন মুভমেন্টের আহ্বায়ক আলহাজ এম এ মালেক, চ্যানেল এস এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান মাহি ফেরদৌস জলিল, ফেডারেশন অব কমিউনিটি অব অরগানাইজেশন্স ইউকে‘র সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইউম কয়্সর, কাউন্সিলার অলিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, কয়সর এম আহমদ, কাউন্সিলার আ ম অহিদ, কাউন্সিলার আয়েশা চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, মওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, ফেডারেশন অব কমিউনিটি অরগানাইজেশন্স, ইউকে‘র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জালালাবাদ কল্যান পরিষদ এর চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান, ফেডারেশন অব কমিউনিটি অরগানাইজেশন্স, বার্মিংহাম এর সদস্য সচিব আফজাল হোসেন । সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতত করেন কমিউনিটি নেতা হাজী সরাফত আলী।

সভায় নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন, সিলেট প্রবাসীদের সম্পর্কে কোন মন্তব্য করার আগে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জানা উচিত যাদেরকে তিনি লাঙ্গল টু লন্ডন বলে অবজ্ঞা করছেন সেই সিলেটের হবিগঞ্জের সন্তান বিপিন চন্দ্র পাল আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জন্মেরও কমপক্ষে ছয় যুগ আগে বছর ১৮৬২ সালে হাউজ অব কমন্সের সদস্য নির্বাচিত হন।

কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী লোকটি কখনোই মানসিকভাবে সামর্থবান নয়। সবসময়ই মানুষের নেতিবাচক দিকে খুজে বেড়ানো তার স্বভাব। তার দৃষ্টিতে প্রবাসে সিলেটে কমিউনিটি নাকি এগোয়নি। প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে যিনি হাউজ অব কমন্সে যাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন রোশানারা আলী তিনি সিলেটের সন্তান। বিদেশে বৃটিশ অ্যামবাস্যাডর আনোয়ার চৌধুরী, কিক বক্সিংয়ে বিশ্ব¦ চ্যাম্পিয়ন আলী জ্যাকো কিংবা রুকসানা এরা সবাই সিলেটের সন্তান। এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে কি যুগের পর যুগ ধরে বৃটেনে থেকেও মুলধারায় মেণার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার গ্লাানি থেকেই তিনি প্রবাসী সিলেটিদের সম্পর্কে এই মন্তবব্য করেছেন?।

তিনি বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য মন্তব্যে প্রমানিত হয়েছে এই লোকটি বিকৃত মানসিকতার মানুষ। কারণ বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মুল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং কমিউনিটির মধ্যে পারষ্পরিক সৌহার্দ সম্প্রীতি বাড়াতে বৃটেনে যেই তরুণ সাহস করে প্রথমবারের মত বাংলাভাষার বৃটেনে একটি টেলিভিশন স্টেশন প্রতিষ্ঠা করলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী তাকে অর্ধশিক্ষিত বলে তাচ্ছিল্য করেছেন। এখন আমরা যদি বলি, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখাপড়ার দৌড় কি পর্যন্ত ? আমরা যতদুর জানি, তিনি কয়েক ক্লাশ মাদ্রাসায় পড়েছেন। কয়েক ক্লাশ পড়েছেন কলেজে। অর্থাত মাদ্রাসায়ও লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। বিশ্ব¦বিদ্যালয়েও শেষ করতে পারেননি। তাহলে এখন যদি প্রশ্ন করি আসলে কে অর্ধ শিক্ষিত?

181050-gaffarকাউন্সিলার অলিউর রহমান বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সাফল্য মেনে নিতে পারেনা। অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা নানারকম কুকথা প্রচার করে এবং এটি এক ধরণের মানসিক ব্যাধি। আব্দুল গাফফার চৌধুরী সেই ব্যাধিতে আক্রান্ত। এই কারণে আলাস্কায় গিয়ে একজন সিলেটিকে তিনি পান বিক্রি করতে দেখে সেটিই তার কাছে বড় উদাহরণ হয়েছে। কিন্তু সিলেটের বিয়ানিবাজারের সন্তান মোজাফ্ফ্র আলী হাশেমের ছেলে হাসিম ক্লার্ক এখন থেকে কমপক্ষে দুইযুগ আগেই যে আমেরিকায় হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সেই গৌরবগাঁথা আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নজরে পড়েনি। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যেও যারা সিলেট অঞ্চল থেকে এসেছেন তাদের সন্তানরা বিলেতের মূলধারার রাজনীতিসহ ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা দীক্ষায় যে অগ্রগতি লাভ করেছে সেটিও কি তার নজরে আসেনি ?

ড. হাসানাত হোসেন এমবিই বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী আসলে সুশিক্ষায় শিক্ষিত নন। আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, সিলেটি কোন ভাষা নয়। আমি তাকে পরামর্শ দিয়ে বলতে চাই অপাতত লেখালেখি কম করেন এবং কথা কম বলেন। আরো পড়াশুনা করুন। দেখবেন, সিলেটি ভাষার উতপত্তি যেই নাগরী ভাষা থেকে সেই ভাষার পূর্ণাঙ্গ বর্ণমালা রয়েছে। এটি উপভাষা নয়।

সিটিজেন মুভমেন্ট এর আহ্বায়ক আলহাজ এম এ মালেক বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী টাউট প্রকৃতির লোক। তার সম্পর্কে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাইনা, শুধু এইটুকু বলতে চাই এই লোকটি সম্পর্কে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের চৌধুরী বলেছেন, গাফফার চৌধুরী তার কলম দিয়ে বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছেন পাকিস্তানী হানাদাররাও এত ক্ষতি করেনি।

টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলার মতিনুজ্জামান বলেন, গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যে আমি মর্মাহত। টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে তার সিলেট বিদ্বেষী বক্তব্যে কমিউনিটিকে ক্ষুদ্ধ করেছে।

মাহি ফেরদৌস জলিল বলেন, কেবল সার্টিফিকেট অর্জন করলেই শিক্ষিত বলা যায়না। বৃটিশ বাংলাদেশী প্রজন্ম তাদের পূর্ব পুরুষদের অনেকেই সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় স্বশিক্ষিত ছিলেন। উচ্চশিক্ষিত ছিলেন অনেকে। তিনি বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর একাডেমিক সার্টিফিকেট সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না তবে তার বক্তব্য ও মন্তব্যেও সঙ্গে তার সুশিক্ষার প্রমান পাওয়া যায়না। তিনি বলেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক বিবিসি বাংলার মরহুম সাংবাদিক সিরাজুর রহমান বলেছিলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী বিবিসিতে একটি চাকুরীর জন্য তাঁর অনেক ঘোরাঘোরি করলেও গাফফার চৌধুরীর আঞ্চলিক উচ্চারণের কারণে তাকে বিবিসিতে চাকুরী দেয়া যায়নি। তিনি বলেন, সেই লোকটি যখন বৃটিশ বাংলাদেশীদের পূর্ব পুরুষ এবং প্রবাসী সিলেটি কমিউনিটি ও সিলেটি ভাষা নিয়ে কথা বলে তখন তার জন্য করুণা হয়।

আফজাল হোসেন, গাফফার চৌধুরীর বৃটিশ মূল্যবোধ বিরোধী এবং বর্ণ বিদ্বেষী বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ফেডারেশন অব কমিউনিটি অব অরগানাইজেশন্স ইউকে‘র সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইউম কয়্সর। প্রস্তাবগুলো হলো, আব্দুল গাফফার চৌধুরী সিলেটি ভাষা ও সিলেটবাসীকে সম্পর্কে যে বিদ্ধেষী বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে সিলেটবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি তাকে দেশে বিদেশে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।

সভায় আরো বক্তব্য করেন, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা আফসর মিয়া (ছোট), বেঙ্গলি টিচার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সিরাজুল বাসিত চৌধুরী কামরান, ব্যবসায়ী আব্দুল বারী, কাউন্সিলার শাহ আলম, কমিউনিটি নেতা তৌফিক আলী মিনার, ব্যবসায়ী কয়্সর খান, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডসের সভাপতি ফেরদৌস আলম, ফেডারেশন অব কমিউনিটি অব অরগানাইজেশন্স ইউকে‘র ট্রেজারার ফারুক মিয়া, সিলেট সদর ট্রাস্টের আবুল কালাম, কমিউনিটি নেতা রিয়াজ আহমদ, আনসার আহমেদ, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, নিজাম উদ্দিন, ওসমান গনি, মুরাদ আহমেদ, জি এস সি দ্যা সাউথ এর চেয়ার আরজু মিয়া, সলিসিটর হিফজুর রহমান, বিশ্বনাথ এইডে‘র সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, খানাইঘাট এসোসিয়েশনের চেয়ার মওলানা রফিক আহমদ রফিক, জি এস সি ইস্ট লন্ডন ব্রাঞ্চের সভাপতি এম এ গফুর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক কুটি, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, গ্রিন লাইফ ইউকে‘র ডিরেক্টর এম এ সালাম, প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ এর সভাপতি আব্দুল বাসিত বাদশা, জি এস সি সাউথ ইস্ট রিজিয়নের সহ সভাপতি গোলাম আযম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিল্লুুল হক, প্রেস সেক্রেটারি সৈয়দ এম করিম, শাহপরান মস্কে‘র চেয়ার নুর বক্স, বরিশাল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মওলানা শামিম আহমদ, নোয়াখালি এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ার ড. এম এ আজিজ, দৌলতপুর ইউনিয়ন ট্রাস্টের ট্রেজারার কদর উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডসে‘র সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ার আলফু মিয়া, কমিউনিটি নেতা বেলাল হোসেন, এম এ শহীদ, আখলুছ মিয়া, তারেক চৌধুরী, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আব্দুল বসিত রফিসহ অনেকে।


Spread the love

Leave a Reply