সিলেট, সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়াবহ অবনতি
বাংলা সংলাপ ডেস্ক: ১৬ই মে। অকাল বন্যায় ডুবেছিল সিলেট। এক সপ্তাহের মধ্যে সে পানিও নেমে যায়। শহরেই ছিল কোমর পানি। এখনো শুকায়নি সেই বন্যার ক্ষত। একমাসের মাঝে ফের বন্যার আঘাত সিলেটে। এবার যেন বন্যার ভয়ঙ্কর রূপ। উজানের ঢল নামছেই। সীমান্তবর্তী চার উপজেলার দৃশ্য ভয়াবহ।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ। এই বন্যা ভেঙেছে অতীতের সব রেকর্ড।
হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত মাসের বন্যা ২০০৪ সালের সালের বন্যাকে অতিক্রম করেছে। আর এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। অবস্থা এতই বেগতিক যে, মানুষ এখন আশ্রয়ও পাচ্ছেন না, বলে জানা গেছে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র করা নিয়ে দোলাচলে রয়েছে প্রশাসন। ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বানবাসীরা।
ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে সুরমা-কুশিয়ারার পানি অনবরত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বেশি প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ। বানের জলে ভেসে যাচ্ছে কাঁচা ও টিনশেড বাড়িঘর। অনেক জায়গায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় সরকারি সহায়তাও পৌঁছাচ্ছে না মানুষের কাছে।