স্বেচ্ছাসেবক দল লন্ডন মহানগর শাখার প্রতিবাদ সভায় বক্তারা: শেখ হাসিনার নামে রাষ্ট্রদ্রোহি মামলা করে তাকে বিচারের কাটগড়ায় দাড় করানো উচিত
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশ নেত্রী বেগম খালেদাজিয়ার উপর রাষ্ট্রদ্রোহি মামলা সহ সকল মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে লন্ডন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা গত বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনে বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় । লন্ডন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিসবাহ বিএস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জাহাংগির আলম শিমুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক । প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারন সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ । সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুখলেছুর রহমান , সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী ,সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আক্তার হোসেন , প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন ,যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমদ শাহিন , সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন , সলিসিটর একরামুল হক মজুমদার, ১ম যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম সম্পাদক কামাল আহমদ ,জসিম উদ্দিন সেলিম, জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সভাপতি আবুল মনসুর শাহজাহান , সাধারন সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দি লিটন , সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত ,আইনজীবী ফোরাম নেত্রী এডভোকেট নাছরিন খান, মহানগর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম ,জিয়া পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আব্দুল জলিল, বিএনপি নেতা নুর বখত , যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শরফরাজ শরফু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের শেখ, বিএনপি নেতা মাওলানা শামিম , সহ সভাপতি আতাউর রহমান মিফতা, শহিদুল ইসলাম , শাহ জামাল ,তুরন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আকমল হোসেন , ওলিউর রহমান চৌধুরী ফাহিম , আজিম উদ্দিন , সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান , দপ্তর সপাদক রাসেল শাহরিয়ার ,ফিরুজ আলম, লন্ডন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহমদ,ফয়ছল আহমদ ,সালেক মিয়া, হারুনুর রশীদ, ইমরুল , পিনাক , ছাত্র নেতা সাইফু ইসলাম মিরাজ ,তানিম আহমদ প্রমুখ ।
সভায় বক্তারা বলেন সরকার জনসম্মুখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হেয় করার জন্য একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কোনো লেশ মাত্র নেই। তিনি নিজেই একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণার্থে তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। খালেদা জিয়া কি ফেরারি? তার কি পরিচয় নেই? তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধা। তার বাড়ির গেটে সমন না টানিয়ে সম্মানজনক ব্যবস্থা করা যেত না? বিএনপি ক্ষমতায় যাবে- এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে চাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে দেশের কল্যাণ করতে চাই।বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমেদ বলেছিলেন, ১০ লাখ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তার এ বক্তব্যের জন্য খালেদা জিয়ার আগে তাজউদ্দীন আহমেদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিৎ। এর পরে আরো অনেকেই শহীদদের বিভিন্ন সংখ্যার কথা বলেছেন। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নামে হত্যা সহ রাষ্ট্রদ্রোহি মামলা করে তাকে বিচারের কাটগড়ায় দাড় করানো উচিত। শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমার দলের একজন মারা গেলে অন্য দলের ১০ জন মারা হবে। তার এ বক্তব্য হত্যার হুমকির জন্য তাকে আসামি করে মামলা করা উচিৎ।