সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আজ সকালে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”
জুলাই আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, তাদের যদি জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আমাদের কিছু বলার নেই।”
কিন্তু “যারা ছাত্র হত্যা করেনি, যারা অর্থ লোপাট করেনি, এমন সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে আসলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?” এই প্রশ্নও রাখেন মি. রিজভী।
দলটির শীর্ষ পর্যায়ের আরও দুজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও একই রকম কথা বলেছেন।
তবে হাসনাত আব্দুল্লাহর অবস্থানের সমর্থনে বক্তব্য এসেছে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। দলটির আমির শফিকুর রহমান ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না।”
তিনি আরও লিখেন, “আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজড হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ওপেন করার কোনই অবকাশ নেই।”
জামায়াতে আমির বিচারের প্রসঙ্গটি এনেছেন। তিনি লিখেছেন, এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়।
“এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোনও সুযোগ নেই” বলে উল্লেখ করেন তিনি।