হেঁটে বেড়ানো গাছ!
বাংলা সংলাপ ডেস্ক
গাছেরা যদি হাটতে জানত কেমন হতো? ভাবুনতো একবার, কিছু মানুষ কুড়াল-করাত নিয়ে আসছে গাছ কাটতে, আর সেটা দেখে দৌড়ে পালাচ্ছে গাছ! এমনটা হলে অবশ্য ভালোই হতো। জলবায়ু সম্মেলনের নামে বিশ্বনেতাদের প্রমোদ ভ্রমন হতো না, পরিবেশ বাঁচানোর নাম করে উন্নয়নশীল বিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ তসরুপের সুযোগ থাকতো না। তবে দৌড়ে পালানোর সামর্থ্য না থাকলেও, শিকড়ের সাহায্যে নিজে নিজে জায়গা বদল করতে পারে এমন গাছ কিন্তু আছে পৃথিবীতে। অন্তত বিবিসির প্রতিবেদন তাই বলছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইকুয়েডরের এক বনে সন্ধান মিলেছে এক প্রকার পাম গাছের, যা হাঁটতে পারে। এমনকি ৬৬ ফুট পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করে তারা। এক্ষেত্রে পায়ের কাজটি করে গাছের শিকড় বা মূল। স্লোভাক একাডেমি অব সায়েন্স ব্রাটিসলাভা’র প্রত্নজীববিজ্ঞানী পিটার ভারসানিস্কি দীর্ঘদিন যাবৎ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি জানান, মাটি ক্ষয়ের ফলে গাছগুলো থেকে লম্বাকৃতির মূল গজায়। এগুলো অপেক্ষাকৃত শক্ত মাটিতে জায়গা করে নেয়। নতুন মূলের সাথে সাথে গাছগুলোও অবস্থান বদলায়। পুরনো মূল মাটি থেকে উপড়ে চলে আসে, আর গাছগুলো খুব ধীরে এগিয়ে চলে। কখনো কখনো দিনে ২-৩ সেন্টিমিটার এগুতে পারে একেকটি পাম গাছ। এভাবে ভালো সূর্যালোক আর উপযুক্ত মাটির সন্ধানে কয়েক বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে গাছের ছুটে চলা।
ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় বনভূমিতে দেখা মিলবে হেঁটে বেড়ানো দূর্লভ এই পাম গাছের।