হোয়াইটচ্যাপল থেকে ৭জন গ্রেফতার : নগদ ২শ হাজার পাউন্ড ও সোনার বার উদ্ধার

Spread the love

cashgoldবাংলা সাংলাপ ডেস্কঃ লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসের বাঙালী অধ্যুষিত হোয়াইটচ্যাপল মার্কেটে অভিযান চালিয়ে বেআইনী ব্যবসায় জড়িত সন্দেহে ৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি ঠিকানা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে নগদ প্রায় ২শ হাজার পাউন্ড এবং প্রায় ২৩ হাজার পাউন্ডের সোনা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৫জনকে জামিনে মুক্তি দিলেও ২জনকে নিয়ে গেছে বর্ডার ফোর্স এজেন্সি। বৃহস্পতিবার ওয়ারেন্ট অর্ডার নিয়ে পুলিশ ও বারার ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি অভিযান চালায়। এ সময় হোয়াইটচ্যাপল মার্কেট থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ সিগারেটও উদ্ধার করা হয়।
মেট পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পুলিশ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড অফিসাররা যৌথভাবে এ অভিযান চালান। এ সময় হোয়াইটচ্যাপল মার্কেট থেকে ৩জন অবৈধ সিগারেট বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা কেউই মার্কেটের স্টল হোল্ডার নয় বলেও নিশ্চিত করে মেট অফিস। একই সময় ওয়ারেন্ট অর্ডার নিয়ে হোয়াইটচ্যাপল এলাকার ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে হোয়াইটচ্যাপল রোডের একটি দোকান থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ সিগারেট উদ্ধার করা হয়। যা কাউন্টার এবং অন্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে স্ট্রীটে বিক্রি করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে অন্য একটি ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ২শ হাজার পাউন্ড এবং প্রায় ২৩ হাজার পাউন্ডের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নগদ অর্থ ও সোনারবারসহ অপরাধ প্রবণতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ২৩ বছরের পুরুষ, ৪৭ বছরের মহিলা, ৮৮ ও ৪৫ বছরের পুরুষ। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানুয়ারী পর্যন্ত জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এদিকে অবৈধ সিগারেট বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ৫৮ বছরের এক পুরুষকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাকেও আগামী জানুয়ারী মাসে কোর্টে তলব করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত অপর দুজনের ইমিগ্রেশন সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ কারণে ৫০ ও ৩৫ বছরের ২ পুরুষকে ইউকে বর্ডার এজেন্সি ফোর্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উভয় ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ অভিযানের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস। বারায় কোনো ধরনের অপরাধ প্রবণতা বা জ্বালিয়াতি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে সতর্ক করেন জন বিগস। তিনি আরো বলেন, স্ট্রীটের সাধারণ জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বারার ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি এবং পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যে কোনো অপরাধ প্রবনতাকে দমন করতে প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন নির্বাহী মেয়র জন বিগস।


Spread the love

Leave a Reply