হোয়াইটচ্যাপেলে নির্মিত হচ্ছে টাউন হল : নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব প্রদান
বাংলাদেশী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত ভাড়া করা ভবনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এতে বছরে প্রায় ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়। তবে সাবেক মেয়র লুতফুর রহমানের সময় কাউন্সিলের নিজেস্ব ভবন নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেন। পরবর্তীতে হোয়াইটচ্যাপেলের পুরাতন রয়েল লন্ডন হাসপাতালের ভবন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যেই কাউন্সিল নতুন ভবনের আসার কথা ছিল।
নতুন মেয়র হিসেবে জনবিগস ক্ষমতায় আসলেও সাবেক মেয়রের এই সিদ্ধান্ত পরবর্তন হয়নি। অবশেষে পুরাতন রয়েল লন্ডন হাসপাতাল সংস্কার ও নতুন আরেকটি ভবন নির্মানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাউন্সিল। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান Bouygues এর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। উক্ত কোম্পানী এ বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু করবে। ২০২১ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে ২০২২ সালে মালবারী প্লেস থেকে হোয়াইটচ্যাপেলে কাউন্সিলের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী টাউন হলের গ্রাউন্ড ফ্লোর থাকবে জনসাধারনের জন্য। সেখানে সেমিনার হল, ক্যাফে এবং কাউন্সিল চেম্বার থাকবে।, ভবনের অন্যান্য ফ্লোরগুলিতে অফিস কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এদিকে মেয়র জন বিগস বলেছেন, বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য টাউন হলের কাজ শুরু হচ্ছে এ বছরের শেষের দিকে। এজন্য আমি আনন্দিত। এতে ব্যয় হবে ১শ ৫মিলিয়ন পাউন্ড। এর মধ্যে প্রায় ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড কাউন্সিলের পুরাতন ভবন বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
তিন বছরের এই কাজে প্রতি বছর প্রায ৪শ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এর মধ্যে ২০ ভাগ হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য।