১০ মার্চ মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের দিন এক সপ্তাহ এগিয়ে ১০ মার্চ পুননির্ধারন করা হয়েছে। এর আগে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ১৭ মার্চ। নির্বাচন এগিয়ে আনার ফলে আপাতত অং সান সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।
নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এবং এই মাসের শেষে ক্ষমতায় আরোহণ করবে। তবে সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সংবিধানে ধারা যোগ করেছিল যে কারো সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না। তবে নির্বাচন জেতার পরে সু চি বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট না হতে পারলেও তিনিই দেশ চালাবেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট মিয়ামারের সংসদের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষের ভোটে নির্বাচিত হবে। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, অং সান সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধা দূর করতে যে আলোচনা চলছিল তাতে কোনো ফলাফল আসেনি। নির্বাচন এগিয়ে আনার মাধ্যমে আরো আলোচনার দুয়ার বন্ধ করা হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনএলডি পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই ৮০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর জন্য এমনিতেই পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। সাংবিধানিক বাধার কারণে সু চি প্রেসিডেন্ট না হলেও তার বিশ্বস্ত কেউই ক্ষমতায় বসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এনএলডির কর্মকর্তা উইন তেইন বিবিসিকে বলেন, দল এখন ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করবে। অং সান সু কি প্রেসিডেন্ট হবেনই। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।