১৬ বছর পর কোয়ার্টারে পর্তুগাল
স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউণ্ডের শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোল উৎসব করে কোয়ার্টারে পৌঁছে গেল পর্তুগাল। নকআউট পর্বের শেষ খেলায় সুইসদের ৬-১ গোলে হারিয়েছে রোনালডোরা। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে একাদশে দেখা যায়নি দলের তারকা প্লেয়ার রোনালডোকে। তার বদলে প্রথম একাদশে নামা ২১ বছর বয়সী গন্সালো রামোসের হ্যাট্রিক ও পেপে, রাফায়েল গুয়েরেরো এবং রাফায়েল লেয়োর করা গোলে ১৬ বছর পর আবারও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো পর্তুগাল। শেষ ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছিল দলটি।বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সুইসদের বিপক্ষে মাঠে নামে পর্তুগাল। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই প্রথম গোল পায় পর্তুগাল। বাম পাশ থেকে হোয়াও ফেলিক্সের পাসে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে গন্সালো রামোসের কোনাকুনি শটে প্রথম গোলের দেখা পায় পর্তুগিজরা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ২য় গোলের উতসবে মাতে পর্তুগাল। এবার কর্নার থেকে দারুণ হেডে গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার পেপে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পেপেই সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার যিনি নকআউট রাউন্ডে গোল করলেন।বিরতিতে যাওয়ার আগে সুইজারল্যান্ডের শাকিরি ও জাকা কয়েকটা প্রচেষ্টা চালালেও তা পর্তুগিজ রক্ষণভাগে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। ফলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫২ মিনিটে আবারো সুইসদের জালে বল জড়ান রামোস। ডান পাশ থেকে দিয়েগো দালোতের বাড়ানো ক্রসে দারুণ ফিনিশিংয়ের মাধ্যমে পর্তুগালকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি৷ এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে রামোসের বাড়ানো বল থেকে দারুণ শটে দলের হয়ে ৪র্থ গোলটি করেন রাফায়েল গুয়েরেরো।৪ গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় সুইজারল্যান্ড। তবে ৫৯ মিনিটে ম্যানুয়েল আকাঞ্জি সুইসদের হয়ে একটি গোল শোধ দেন। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৭ মিনিটে পর্তুগালের হয়ে নিজের তৃতীয় ও দলের ৫ম গোলটি করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন গন্সালো রামোস। পেলের পর তিনিই সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ডে হ্যাটট্রিক করলেন। তার হাত ধরেই এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক দেখলো সবাই।
৭৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রোনালদো। ৮৫ মিনিটে একটি গোলও করেন তিনি। তবে অফসাইডের কারণে রেফারি গোলটি বাতিল করেন। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে এসি মিলান তারকা রাফায়েল লেয়ো আরো একটি গোল করলে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।