২০১৬ ইইউ বদলে দেবার বছর : ক্যামেরন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন আসছে বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের বিরাজমান সম্পর্কে মৌলিক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে ক্যামেরন বলেন- ২০১৬ সাল হবে ইইউ কে বদলে দেবার বছর।
নিজের সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি সমঝোতার খুব কাছাকাছি আছি। তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারী নাগাদ একটি চুক্তিতে পৌছানো সত্যিই কঠিন। তবে আগামী বছরের মধ্যে যে বিষয়টির একটি সুরাহা হবে, সে ব্যাপারে তিনি অনেকটাই নিশ্চিত। ইইউ’র সাথে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের বিষয়টি ব্রিটিশ জনগনই নির্ধারন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণভোটে তোলার পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মূলত ইইউভূক্ত দেশের অভিবাসীদের ‘ইন-ওয়ার্ক’ সুবিধা চার বছর বন্ধসহ চারটি বিষয়ের পরিবর্তন চান ক্যামেরন। বৃহস্পতিবার রাতে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। জানা গেছে যুক্তরাজ্যের এসব দাবির বিষয়টি নিস্পত্তির ব্যাপারে বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা্ও আগ্রহী। তবে একটি বিষয়ে তারা পরিস্কার, সবকিছুই হতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলনীতির আলোকে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, চুক্তির বিষয়ে ব্রিটেন সঠিক পথেই এগুচ্ছে। তবে একই সাথে তিনি এও বলেন যে, এখনও কিছু কিছু বিষয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারীতে ইইউ’র পরবর্তী বৈঠকের পূর্বেই এসব বিষয়ে কঠিন কিছু কাজ সমাধা করতে হবে। তিনি বলেন, যদিও বিষয়টি সহজ নয়, তবু আমার বিশ্বাস ২০১৬ সালে আমরা যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র সম্পর্কের বিষয়ে প্রকৃতই গুরত্বপূর্ন ও মৌলিক কিছু পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব। তারপর ইইউ’তে সদস্যপদ নিয়ে ব্রিটিশ জনগণের মনোভাব যাচাই করা হবে। জনগনই সিদ্ধান্ত নিবে, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকব, নাকি বেরিয়ে যাব।
তবে গণভোটের সময়সীমার ব্যাপারে সাংবাদিকদের পশ্ন এড়িয়ে কিছুটা কৌশলে ক্যামেরনের জবাব, দিন-ক্ষণ এর চাইতেও আলোচনার বিষয় বস্তুই বেশী গুরুত্বপূর্ণ।